মদরিচরা জিতলে গায়ের কাপড় খুলবেন মিস ক্রোয়েশিয়া

মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নল ফুটবল মাঠে প্রিয় দলের জন্যে শালীনতার সব সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যদি মদরিচরা বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হন সেক্ষেত্রে তিনি আগাম প্রতিশ্রুতি দিলেন ফ্যানদের। তিনি জানিয়েছেন গ্যালারিতে যা করে আসছেন, তার চেয়েও এবার আরও বেশি কিছুই করতে চান।

যদিও ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই গ্যালারিতে স্বল্পবসনা ললনাদের সারি। ফুটবলের এই রকম রঙিন ছবি দেখেই অভ্যস্ত ফ্যানরা। কিন্তু এবার ফুটবল বিশ্বযুদ্ধের আসর বসেছে কাতারে। মধ্যপ্রাচ্যের নিষেধের বেড়াজালে বাঁধা এখানকার সংস্কৃতি। পোশাক থেকে শুরু করে মদ্যপান – সবকিছুই। স্বাধীনতা শব্দটা এখানে বড়ই বেমানান। ফলে এমন দৃশ্য দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এসব নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নল নিজের স্বভাবজাত ঝোড়ো মেজাজেই ব্যাট করছেন। ক্লিভেজ দেখিয়ে কাতারি দর্শকদেরও নিজের ফ্যান বানিয়ে ফেলেছেন। বাচ্চা থেকে বুড়ো, গ্যালারিতে তাকে সকলেই দেখছেন হা করে। সেই ছবিও নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

জানা গেছে, ক্রোয়েশিয়ার সমর্থনে কাতারে প্রতি ম্যাচেই থাকছেন ইভানা। এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ক্রোয়েশিয়ার কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে যায়গা করে নিয়েছে শেষ চারে। এই ম্যাচেও ইভানা ছিলেন মাঠে। চেনা দেশের পতাকায় রাঙানো রিভিলিং পোশাকেই তিনি ফের আগুন জ্বেলেছেন গ্যালারিতে।

এখানেই শেষ নয় ফ্যানদের জন্য ভিডিও পোস্ট করেও তাতালেন। এক সাক্ষাৎকারে ইভানা জানিয়েছেন যে, মদরিচরা জিতলেই তিনি শরীরের সব আবরণ খুলে দেবেন। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই জানা গিয়েছিল যে, কাতারের স্টেডিয়ামে বসে বিশ্বকাপ দেখতে গেলে দর্শকদের একাধিক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। ফ্যানদের খোলামেলা পোশাক একেবারেই নৈব নৈব চ। শরীর প্রদর্শনকারী যেকোনো পোশাকই এখানে নিষিদ্ধ। কাতারি আইনে এমনটা করলে মহিলাদের যেতে হবে সোজা শ্রীঘরে! পুরুষরাও যদি টপলেস হয়ে যান, তাহলে দিতে হবে মোটা টাকার জরিমানা। হতে পারে হাজতবাসও। স্লিভলেস ট্যাঙ্ক টপ যেমন পরা যাবে না, তেমনই আপত্তিকর স্লোগানকেও জানানো হবে না স্বাগত।’

কাতারের ফতোয়ার প্রসঙ্গে ইভানা বলেছেন, আমি প্রথমে ভাবছিলাম যদি বিশ্বকাপই হয়, তাহলে নিশ্চিত ভাবে সবাইকে স্বচ্ছন্দ্য পোশাক পরতে দিতে হবে। ফ্যানদের কোনও নিষেধাজ্ঞায় রাখা যাবে না। তারপর আমি কাতারি নিয়মের ব্যাপারে শুনে চমকে যাই। কী সব নিয়ম! কাঁধ, গলা, কোমর ও হাঁটু নাকি দেখানো যাবে না। আমি শুনে বলেছিলাম – ওএমজি! আমার তো ওই সব জায়গা ঢাকা এরকম কোনো পোশাকই নেই। এসব শুনে প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম। ‘২০১৪, ২০১৮ এর পর এবার ২০২২ বিশ্বকাপেও গ্যালারির চোখ টানছেন ফুটবলের অন্যতম হটেস্ট ফ্যান ইভানা।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ