ভাবনা বললেন, ‘আমার লেখাপড়া মাত্র শুরু’

আশনা হাবিব ভাবনার অনেক গুণ। একাধারে তিনি একজন নৃত্যশিল্পী, মডেল ও অভিনেত্রী। পড়াশোনায়ও বেশ পটু এই তারকা। বাংলাদেশ রাইফেলস স্কুল অ্যান্ড কলেজ (বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ) থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ২০১০ সালে এসএসসি এবং ২০১২ সালে এইচএসসি পাস করেন।

তার ৯ বছর পর গত নভেম্বরে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেন ভাবনা। ইংল্যান্ডের ওয়েলসে অবস্থিত গ্লিন্ডউর ইউনিভার্সিটি থেকে ‘বিজনেস’ বিষয়ে এই ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পান দ্বিতীয় বিভাগ।

বুধবার (১১ মে) সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হয় সেই গ্র্যাজুয়েশন সার্টিফিকেট। সশরীরে লন্ডনে উপস্থিত থেকে মাথায় হ্যাট আর গায়ে গাউন পরে নিজের কাঙিক্ষত সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ভাবনা। সেই ছবি প্রকাশ করেন নিজের ফেসবুকে। এরপর থেকেই বন্ধু-শুভাকাঙক্ষী আর ভক্তদের প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন অভিনেত্রী। ভাবনাকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তাফাও!

এই সার্টিফিকেট অর্জন করতে যে ভাবনাকে অনেক পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তা জানা যায় পোস্টে ভাবনার লেখা থেকে।

এই অভিনেত্রী লেখেন, ‘কেউ বিশ্বাস করুক আর না করুন নিজে নিজেকে বিশ্বাস করা সবচাইতে জরুরি। কেউ পাশে থাকুক না থাকুক নিজের পাশে নিজের থাকাটা জরুরি। খুবই জরুরি। আমার জীবনে আমি অনেকবার মা-বাবাকে খুশি করতে পেরেছি তবুও যেন পরিবারের অন্যরা সব সময় আমার মা-বাবাকে আমার পড়াশোনা নিয়ে একটু খোঁচা কথা বলতে ছাড়তো না, কারণ মেয়ে নাচ করে, অভিনয় করে, পড়াশোনা তো আমাকে দিয়ে হবেই না। আমার মা-বাবা আমাকে জীবনে কোনদিন ক্লাসে ফ্রাস্ট হওয়ার জন্যে বলেনি। সব কিছুতেই আমার মা-বাবা আমার পাশে ছিল সবসময়। যতবার আমি হেরে যাই আম্মু আব্বু আমাকে সাহস দেয়।’

ভাবনা আরও যোগ করেন, ‘আমার লেখাপড়ার জার্নিটা একদম সোজা ছিল না, অনেক কাজ মিস হয়েছে, অনেক কঠিন হয়েছে স্পেশালি এই করোনার সময়, তবু ও আমি লেগে ছিলাম শুটিংয়ের সময় ও অনলাইনের ক্লাস মিস করিনি। আমার মা-বাবা, আমার বোন যাদের কারণেই আমার মনে হয়েছে পড়তে হবে। আমার বোন না থাকলে যে আমার যে কি হতো আমি ভাবি মাঝে মাঝে। এবং আমার London School of Commerce, Dhakaর সকল শিক্ষকেরা, যাদের জন্যে আমার লেখাপড়ার পথ সোজা হয়েছে । তবে আমি তাদেরকে বেশি করে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা আমাকে জাজ করে, যারা আমাকে ছোট করে কথা বলতে ভোলে না, যারা আমাকে টেনে ফেলে দিতে চায়, যাদের আমাকে দেখলে অনেক হাসি পায়, আমি সত্যি আপনাদের বেশি ভালোবাসি, আপনাদের কারণেই আমি চলতে থাকি নিজের মতো করে, আমি শুধু এতটুকু বলব আমার লেখাপড়া কেবল শুরু। আর ও অনেক কাজ করতে চাই। একটি দিন ও আমি বসে থাকতে চাই না। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ করবেন।’

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ