শীতকাল আপনার নাছোড়বান্দা ওজন কমানোর জন্য দুর্দান্ত। সময় কারণ এসময় প্রাকৃতিকভাবে বিপাক বাড়ে, যা আপনাকে আরও ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে। তাই কিছু মৌসুমী ফল যোগ করতে পারেন আপনার খাবারের তালিকায়, যাতে ওজন কমানোর যাত্রা কিছুটা প্রাণবন্ত হয়! প্রতিটি ঋতুতে বিভিন্ন ধরণের ফল পাওয়া যায়, আপনার খাদ্যতালিকায় সেগুলোকে যোগ করে সহজেই একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এবং তা আপনার ওজন কমানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করে দিতে কাজ করবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই শীতে ওজন কমাতে চাইলে কোন ফলগুলো খাবেন-
কমলা
কমলায় থাকে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি। যে কারণে কমলা ওজন কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এটি ওজন কমানোর জন্য একটি আদর্শ ফল কারণ এতে ক্যালোরি কম এবং পটাসিয়াম, খনিজ পদার্থ, ফোলেট ও ফাইবার বেশি। এর ফাইবার সামগ্রী ভালো হজম করতে সহায়তা করে এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখে।
জাম্বুরা
জার্নাল অফ মেডিসিনাল ফুড-এ প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, যারা আঙ্গুরের রস পান করেন তারা প্লাসিবো গ্রুপের তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে শরীরের ওজন কমাতে পারেন। জাম্বুরা ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ এতে ক্যালোরি কম এবং ফাইবার ও খনিজ পদার্থ বেশি। তাই এই শীতে জাম্বুরা রাখুন আপনার খাবারের তালিকায়।
আপেল
আপেল হলো একটি জনপ্রিয় ফল যাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এটি হজমে সহায়ক এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরিয়ে রাখতে কাজ করে। এর মিষ্টি স্বাদের কারণে তা ওজন নিয়ন্ত্রণ করছেন এমন কারও জন্য দুর্দান্ত নাস্তা হতে পারে, যা ক্ষুধা দূর করে। আপনার সালাদে আপেল যোগ করতে পারেন, এটি খেতে পারেন স্মুদি তৈরি করেও। কিংবা পিনাট বাটার দিয়ে আপেল খেলে তাও স্বাস্থ্যকর হতে পারে।
বেরি
রাস্পবেরি, স্ট্রবেরি এবং ব্লুবেরির মতো বেরিতে ক্যালোরি কম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেশি। এগুলোও সুস্বাদু। এই ফলগুলো আপনি এমনিই খেতে পারবেন। অথবা সালাদ কিংবা দইয়ের সঙ্গে যোগ করেও খাওয়া যায়। বেরি হলো একটি পুষ্টিকর- এবং ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ খাবার যা ওজন কমাতে এবং অনেক দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
কিউই
কিউই হলো একটি পুষ্টি-ঘন খাবার যাতে কম ক্যালোরি সমৃদ্ধ। এতে বেশি থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং ডায়েটারি ফাইবার যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। এর সতেজ সবুজ অংশ সালাদ এবং নাস্তায় বাড়তি পুষ্টি যোগ করে। আপনি ওজন কমাতে চাইলে এই ফলও রাখতে পারেন খাবারের তালিকায়।