একসঙ্গে একই ছবিতে কাজ করা, অনস্ক্রিন রসায়ন গলে অফস্ক্রিনে ছড়িয়ে পড়া— সবটাই দেখা গেছে নায়ক-নায়িকা দম্পতি রাজ-পরীর জীবনে। ভালোবাসার কথা লুকোননি বরং খুব জলদিই সব সামনে আনলেন। হাওয়ার বেগে সংসার পাতলেন, সেখানে সুবাতাস বইয়ে আগমন ঘটে রাজপুত্র রাজ্যের। আপাতত সন্তানকে ঘিরেই দুজনার যত ব্যস্ততা। তারপরও ব্যক্তিগত জীবনের খুনসুটি চার দেয়াল ডিঙিয়ে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় সামাজিকমাধ্যমে। কৌতূহলী হয় ভক্ত-দর্শকেরা।
মাঝে তো অনেকটাই বিদ্রোহের সুর বেজেছিল পরীমণির কণ্ঠে। আওয়াজ তোলেন স্বামী শরিফুল রাজের বিরুদ্ধে। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ব্যাপারটা এতটুকু গড়াতে দেওয়া উচিত হয়নি তোমার। যাকে নিয়ে স্বামীকে শাসালেন তাকেও দুকথা শোনাতে ভোলেননি পরী। জানালেন, নিজের স্বামীকে নিয়ে সুখী থাকা উচিত ছিল তার। এরপর অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ঝাঁপি খুলে বসেন ‘পরী-রাজ-মীম’ অভিনয় ত্রয়ী।
তারও আগে ‘দামাল’ ছবির প্রমোশনে রাজ-মিমের হাত ধরাধরি নিয়েও সরব হন পরী। খোঁচা দিয়ে উদাহরণ দিতে টেনে আনেন তার ‘বিশ্বসুন্দরী’র সহ-অভিনেতাকে। জানালেন, ওই নায়ককে কোনো নায়িকার হাত ধরে চটকাচটকি করতে দেখেননি তিনি।
রাজ-পরীর রাজ্যে যখন ঝড় বইছিল। তখনই হাওয়াবদল করতে ছেলেকে নিয়ে উড়াল দিলেন চট্টগ্রামে। সেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করে এলেন ‘স্টার সিনেপ্লেক্স’-এর চট্টগ্রাম শাখা। ভক্ত-দর্শকের মনে স্বস্তির নিঃশ্বাস, নতুন শুরুর আভাস। কিন্তু কিসের কী? ওনারা বাঁচেন ওনাদের নিয়মেই।
গতকাল রাজ তার ফেসবুক পেজে একটি পুরোনো ছবি ভাগ করে নেন। এই শীতে ‘হাওয়া’ অভিনেতার ছবি যখন উষ্ণতা বাড়িয়ে দিচ্ছিল তখনই বাগড়া বসান পরী। জানান দেন, পুরোনো দিনে তারও এমন আগুন ধরানো ছবি ছিল।
শুধুই কি জানান দেন? না, বরং দেখিয়েও দেন। যেখানে ভক্ত-দর্শকেরা উষ্ণতার ছোঁয়া নেবেন সেখানে আবারও উৎকণ্ঠা! থেমে থেমে জ্বলে ওঠা আগুন কবে আবার আগ্নেয়গিরির রূপ নেয় সেই শঙ্কায় দিনাতিপাত করছেন তারা।