সাত দিনে রিজার্ভ কমল ১১৮ কোটি ডলার

প্রায় দেড় বছর ধরে ডলার সংকটে ভুগছে বাংলাদেশ। দিনে দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। সংকট মোকাবিলায় বাজারে প্রতিদিনই ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমছে।

এ মাসের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৬ কোটি মার্কিন ডলার। ব্যাংকগুলো বেশি দামে রেমিট্যান্স কেনায় মাসের প্রথম সপ্তাহে আকুর পেমেন্ট দেওয়ার পরও রিজার্ভ বেড়ে ২ হাজার ৭৮ কোটি ডলারে উঠেছিল। কিন্তু ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকায় রিজার্ভ আবারও কমতে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১১৮ কোটি ডলার কমে রিজার্ভ এখন দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলারে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে রিজার্ভের এ চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৫২৬ কোটি (২৫ দশমিক ২৬ বিলিয়ন) ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যাথডের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবের সঙ্গে ৫.৬৬ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য রয়েছে। অর্থাৎ বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ এক হাজার ৯৬০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ১৯ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।

বিশ্বজুড়ে প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানকে দেওয়া ঋণ গ্যারান্টি, পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ রিজার্ভের অন্তর্ভুক্ত নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক আগে এগুলোকেও রিজার্ভ হিসেবে দেখিয়ে আসছিল। এসব হিসাব বাদ দেওয়ার কারণে রিজার্ভ থেকে ৫ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার কমে যায়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ