সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের কষ্ট। দাবদাহে শ্রমিক শ্রেণির মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। প্রখর তাপের কারণে দিনের বেলায় ঈদের কেনাকাটায়ও ছেদ পড়েছে। দুপুরে দোকানপাটে তেমন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে । যেটা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এই তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।

গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এর আগে রোববার ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা ১০ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে চুয়াডাঙ্গায়।

এদিকে পবিত্র রমজান মাসে প্রচণ্ড গরম হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ সহজে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে লোকের আনাগোনাও কমে যাচ্ছে। ১৯ রমজান অতিবাহিত হলেও শহরের কাপড়ের মার্কেটগুলোতে তেমন ক্রেতা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কিছু ক্রেতা আসলেও ঈদের বাজারের পুরোপুরি জমে উঠেনি। বৃষ্টি না হওয়ায় গরমের কারণে আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে।

কৃষকরা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবার গাছে গাছে আমের মুকুল বেশি এসেছে। প্রখর রোদে আমের মুকুল পড়ে যাচ্ছে। ভুট্টা কাটা ও বোরো ধানের ভরা মৌসুমে তীব্র খরা। প্রতিদিন ধানে পানি দেওয়া লাগছে। বৃষ্টির দেখা নেই। আবার ভুট্টা কাটতে হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রচণ্ড তাপে মাঠে কাজ করা দুষ্কর হয়ে পড়ছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জাহিদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। গত এক সপ্তাহ যাবত চুয়াডাঙ্গাতে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ চলছে। যা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। তাপমাত্রা আরও বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ