সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
রোববার (২৩ অক্টোবর) মাউশির এক ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে’ এ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার মতোই মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু সদস্যকেও এসব কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত আগস্টে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মাউশি। গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে প্রাথমিকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদেরও সতর্ক করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে কী কী অনুসরণ করতে হবে, এ জন্য ৮ দফা তালিকাও দিয়েছিল অধিদপ্তর।
এবার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দিল মাউশি। এতে বলা হয়, মাউশির অধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী আইন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকদের চাকরির শর্ত বিধিমালা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকার পরিপন্থী।
সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, এ নির্দেশনা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা। কোনো শিক্ষক-কর্মচারী অন্যের পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কনটেন্ট বা পোস্ট দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাউশিতে আবেদন করতে বলা হয়েছে।