পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় রাষ্ট্রপ্রধান ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা বঙ্গভবনের ক্রেডিনশিয়াল হলে ডাকযোগে ভোট দেন।
তিনি দেশবাসীকে আগামী নির্বাচনে ভোট প্রদান করে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্র প্রধান বঙ্গভবনের ক্রেডিনশিয়াল হলে ডাকযোগে ভোট দিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘আসুন নিজে ভোট দিই এবং অন্যকে ভোট দানে উৎসাহিত করি।’
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেয়া আমাদের দায়িত্ব।’
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, সকলের অংশগ্রহণে এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রধান পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে সক্ষম হন।
নিবন্ধিত ভোটার, যারা কারাবন্দী বা আইনি হেফাজতে আছেন, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।
ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ-এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এই বিধান চালু হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে প্রচারণার নির্দেশনা দেয়া হয়।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি যিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী, তাকে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপারের জন্য তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, আবেদনটিতে অবশ্যই ভোটারের নাম, ডাক ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায় ক্রমিক নম্বর থাকতে হবে।
রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তাঁর সহধর্মিনী পাবনা সদরের ভোটার।
রিটার্নিং অফিসার সময়সীমার মধ্যে তাদের প্রাপ্ত পোস্টাল ভোটগুলো বিবেচনা করবেন এবং সেই ভোটগুলো গণনা করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।