চিৎকারে, ভুভুজেলায় মুখরিত আল খলিফা স্টেডিয়াম

আল বায়াতের পর খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বল মাঠে গড়িয়েছে। গতকাল কাতার ও ইকুয়েডর ম্যাচে দর্শক ছিল ৬৭ হাজার। স্বাগতিক কাতারের সমর্থক বেশি থাকায় ফুটবল উন্মাদনা গ্যালারিতে কম ছিল। কারণ কাতার ২-০ গোলে হেরেছে। আজ আল খলিফায় ইংল্যান্ড ও ইরানের দর্শকরা মাতিয়ে রাখছেন সারাক্ষণ।

এই স্টেডিয়ামের নির্মাণ শৈলী তার স্বাতন্ত্র্য দিয়ে ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। দোহা শহরের মধ্যে অবস্থিত আল খলিফা স্টেডিয়াম। দোহার যে কোনো প্রান্ত থেকে মিনিট তিরিশের মধ্যে আসা যায় আল খলিফায়। স্টেডিয়াম চত্ত্বরে আল বায়াতের মতো বড় সবুজ গালিচা নেই। তবে ছোট মাঝারি গাছে সবাইকে আকৃষ্ট করবে৷

আল বায়াত স্টেডিয়ামের চারদিক সমান উচ্চতা ও খাড়া আকৃতির ছিল। আল খলিফা একেবারে ভিন্ন ধাঁচের। ২ গোলপোস্টের পেছনের দুই দিকে খুবই কম উচ্চতা। কিক অফ লাইনের মাঝের ২ অংশের গ্যালারির উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। দর্শকদের প্রবেশ পথের সময় আলাদা আলাদা বিল্ডিং মনে হয়। আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গ্যালারিতে প্রবেশ করতে হয়৷

ইংল্যান্ড ও ইরানের ম্যাচ চলছে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায়। দুপুরের সময় ম্যাচ চললেও স্টেডিয়ামের গ্যালারি ও মাঠে সেটি টের পাওয়ার সুযোগ নেই। শীতল বাতাসে হ্যারি কেনরা স্বাভাবিক খেলা যেমন খেলছেন তেমনি গ্যালারিতে বসে দর্শকরাও খুব উপভোগ করছেন। ইরান ও ইংল্যান্ড উভয় দলের সমর্থকদের ভুভুজেলা ও চিৎকারে মুখরিত স্টেডিয়াম।

বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে খরচে আসর হচ্ছে এবার কাতারে। ২২০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে কাতার সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে স্টেডিয়ামে। সেই স্টেডিয়াম নিয়ে অনেক সমালোচনা হলেও নির্মাণ শৈলী ও ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ