কাতার বিশ্বকাপের আগে লিওনেল মেসি জানিয়ে দিয়েছিলেন, এটাই হবে তার শেষ বিশ্বকাপ। তবে ৩৬ বছর পরে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বসেরা করার পর তার গলায় শোনা গিয়েছিল ভিন্ন সুর। যদিও সাফ জানিয়েছিলেন, ২০২৬ সালের বিশ্বকাপে তার খেলার তেমন সম্ভাবনা নেই। তবে সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেননি। যদিও আরেকটি বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে দলে পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন আলবিসেলেস্তে কোচ ও সতীর্থ ফুটবলাররা।
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপ থেকে ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপ; একে একে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের পাঁচটি আসরে খেলে ফেলেছেন মেসি। আর্জেন্টিনার বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপের তৃতীয় শিরোপাটা ধরা দিয়েছে মেসির হাত ধরেই। অনেক সমর্থক ধরেই নিয়েছিলেন বিশ্বকাপ জেতার পর হয়তো বুট জোড়া তুলে রাখবেন ফুটবল জাদুকর। তবে বিশ্বকাপের পর ঘোষণা দিয়েছিলেন আরও কিছুদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যেতে চান তিনি।
কদিন আগে আর্জেন্টাইন লিওনেল স্ক্যালোনি জানিয়েছিলেন, মেসি চাইলে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যেতে পারেন। তবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে তার ইচ্ছের ওপর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে মেসি বলেছেন, আমার ফুটবলজীবনের বৃত্ত সম্পূর্ণ হতে চলেছে। যা আমি স্বপ্নে দেখতাম, জাতীয় দলের হয়ে তা সব কিছু অর্জন করেছি। অনবদ্যভাবে আমার ফুটবলজীবন শেষ হতে চলেছে।
তিনি আরও বলেছেন, যখন শুরু করেছিলাম, কখনও কল্পনাও করিনি আমার জীবনে এ রকম কিছু ঘটতে চলেছে। আমার কোনো অভিযোগ নেই। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি চাইতেও পারি না। ২০২১ সালে আমরা কোপা আমেরিকা জিতেছিলাম। তারপরে বিশ্বকাপ। আমার আর কিছু বাকি নেই পাওয়ার।
বয়সটা সায় দিচ্ছে না। তবুও সমর্থকরা স্টেডিয়ামে মেসি মেসি স্লোগানে গলা ফাটাতে মরিয়া। আর তাইতো বারবার ঘুরেফিরে আসছে পরবর্তী বিশ্বকাপে মেসির খেলার প্রসঙ্গ। আর্জেন্টিনার দৈনিক ওলেকে দেয়া সদ্য এক সাক্ষাৎকারেও ওঠে এসেছে আরেকটি বিশ্বকাপে খেলা প্রসঙ্গ।
এ ব্যাপারে পিএসজি তারকা জানান, ‘আমি সবসময় বলতাম, বয়সের কারণে এটা কঠিন। আমি ফুটবল খেলতে ভালোবাসি, আমি যা করি তা ভালোবাসি। যতক্ষণ আমি ভালো আছি এবং আমার শরীর সায় দিচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি খেলাটা উপভোগ করতে থাকবো। তবে পরবর্তী বিশ্বকাপ পর্যন্ত এটি আমার কাছে অনেক বেশি বলে মনে হচ্ছে। বয়স ও সময়ের কারণে এটা কঠিন। এটা নির্ভর করছে আমার ক্যারিয়ার কেমন যাচ্ছে তার ওপর। আমি ৩৬ বছর বয়সী হতে যাচ্ছি। আমি দেখতে চাই আমার ক্যারিয়ার কোথায় গিয়ে থামে। পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলা আসলে অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে।’