সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে শাহরুখ খান অভিনীত ‘পাঠান’। অনেক নাটকীয়তার পর গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। আগামী ১২ মে দেশজুড়ে মুক্তি পাবে হিন্দি ব্লকবাস্টার এই সিনেমা।
প্রথম থেকেই ভিনদেশি তথা হিন্দি ছবির বিরোধিতা করে আসছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। ‘পাঠান’ মুক্তি নিশ্চিত জেনেও মত পাল্টালেন না তিনি। বরং রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন সিনেমাটির দিকে। তার মতে, বাংলাদেশের দর্শক ‘পাঠান’ দেখবে না।
তিনি বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, ‘পাঠান’ আমাদের দেশে চলবে না। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ আমি সিনেমা বানাই, বিনিয়োগ করি, সিনেমা চালাই, হল চালাই। আমাদের দর্শক কী ধরনের সিনেমা দেখতে চায়, আমার তিন দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি দর্শকের চহিদা বুঝতে পারি।”
বাংলাদেশে কেন পাঠান চলবে সেটারও ব্যাখ্যা দিলেন ডিপজল। তার কথায়, “আমি মনে করি, ‘পাঠান’ মুক্তি পেলেও সেটা আমাদের দেশে চলবে না। দর্শক সাড়া দেবে না। আমাদের সিনেমার দর্শক আলাদা। সিনেমার মূল ব্যবসা মূলত মফস্বল শহরের সিনেমা হলগুলো থেকে হয়। সেখানেই দর্শক বেশি। তারা হিন্দি বোঝে না। ডাবিং করে চালালেও তা গ্রহণ করে না। সিনেপ্লেক্সের দর্শক আলাদা। সেখানে যে পরিমাণ দর্শক হয়, তা দিয়ে সিনেমার পুঁজি উঠে না। ইতোমধ্যে এক শ্রেণির দর্শক ‘পাঠান’ দেখে ফেলেছে। নতুন করে তাদের দেখার কিছু নেই।”
ডিপজলের ভাষ্য অনুযায়ী, হিন্দি সিনেমা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। আমাদের সাধারণ দর্শক আমাদের দেশের সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও চেনা-জানা পরিবেশ এবং ভাষার সিনেমা দেখতে চান। তা না হলে আমাদের চলচ্চিত্র এত সমৃদ্ধি লাভ করতে পারত না।
ডিপজল চ্যালেঞ্জ জানালেও ‘পাঠান’ নিয়ে বেশ আশাবাদী এটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। তাদের মতে, ‘পাঠান’ হচ্ছে বড় পর্দায় দেখার মতো ছবি। ওটিটিতে দেখলেও বাংলাদেশি দর্শকেরা ছবিটি সিনেমা হলের পর্দায় দেখতে মুখিয়ে আছেন।