‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ভালো না খারাপ এই নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে একের পর এক রিভিউ। তবে করোনা পরবর্তী সময়ে এ ছবি যে প্রথম দিনে বক্স অফিসে সাড়া জাগিয়েছে এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন প্রায় প্রত্যেকেই।
হল মালিকদের বরাতে ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, বক্স অফিসে এই ছবির আয় প্রথম দিনে মোটের ওপর ভালোই। তুলনামূলক বিচারে বাকি ছবির থেকে অনেকটাই এগিয়ে। তবে বয়কট ট্রেন্ড বহাল থাকা সত্ত্বেও এই রাজ্যেই ছবিটি তৈরি করেছে এক নতুন রেকর্ড। যা ছাপিয়ে গেছে রাজামৌলী ১০০০ কোটির ওপর ব্যবসা করা ‘আরআরআর’ ও আল্লু অর্জুনের ‘পুষ্পা’ ছবিকেও। কী সেই রেকর্ড।
সূত্র জানাচ্ছে, ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ই এমন এক ছবি যা গোটা রাজ্যে প্রায় ৫৬০টি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে। যেখানে ‘আরআরআর’ ছবিটি এই রাজ্যে মুক্তি পেয়েছিল ৫৪৭টি স্ক্রিনে। অন্যদিকে ‘পুষ্পা’ মুক্তি পেয়েছিল ৫৪০টি স্ক্রিনে। যদিও কলকাতার দুই ঐতিহ্যবাহী হল ‘নবীনা’ ও ‘প্রিয়া’তে এই ছবি মুক্তি পায়নি। নেপথ্যে রয়েছে ছবিটির ডিস্ট্রিবিউটর ও ওই দুই হলের মালিকদের মতের অমিল। তবু কলকাতায় এই ছবি মুক্তি পেয়েছে রাজকীয় ভাবেই। অগ্রিম বুকিংয়ের আয়ও নেহাত কম নয়।
সারা বিশ্বজুড়ে ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ৯০০০ স্ক্রিনে। কোনো বলিউড ছবির ক্ষেত্রে এই সংখ্যা নেহাতই বিরল। শুধু ভারতেই ওই ছবি মুক্তি পেয়েছে ৫০১৯টি স্ক্রিনে। ৪০০ কোটির ছবির ক্ষেত্রে এতটুকুও যে জমি ছাড়তে রাজি নন নির্মাতারা তা যেন এই সংখ্যাগুলোই প্রমাণ করে দিয়েছে।
বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা গিয়েছিল অগ্রিম বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও এগিয়ে ছবিটি। মুক্তি পাওয়ার আগে পর্যন্ত গোটা দেশে এই ছবির অগ্রিম বুকিং হয়েছে ৩৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে হিন্দি ভাষাতেই এই ছবির বুকিং হয়েছে ২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়াও তেলুগু ও তামিল ভাষাতেও ছবির বুকিং হয়েছে। তবে দিনের শেষ ‘কন্টেন্টই আসল রাজা’। তাই শুরুটা ভালো হলেও এই সাফল্য কি ধরে রাখতে পারবে ছবিটি? তাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।