মুরগির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, রোজার সময় মুরগির দাম আর বাড়বে না। রমজানে পোল্ট্রি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার সজাগ থাকবে। তবে বাজারে ইতোমধ্যে অনেক দাম বেড়েই আছে। এই অস্বাভাবিক দাম রাতারাতি কমে আসবে না। মুরগির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টরা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এ বাজার স্বাভাবিক হতে কয়েক মাসের মতো অপেক্ষা করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুড়িলে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পোলট্রি শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, বাজারে সরবরাহ সংকটের কারণেই মূলত মুরগির দাম বেড়েছে। দীর্ঘদিন খামারিরা লস করেছে, অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে, মুরগির নতুন বাচ্চা তুলেননি, যার কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ অনেক কমেছে। এছাড়া মুরগির খাবারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক বেড়েছে। এসব কারণে বাজার অনেক চড়া, মানুষ কিনতে পারছে না।
মন্ত্রী বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অস্বাভাবিকভাবে বাচ্চার দাম ও খাদ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। তাই ভোক্তা, উৎপাদক, খামারি, ব্যবসায়ীসহ সবার স্বার্থ সুরক্ষায় একটি শক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও নীতিমালা থাকা দরকার।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার সকল মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। এখন চ্যালেঞ্জ হলো সকলের জন্য পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা। অনেক চালনির্ভর দেশের চেয়ে আমরা বেশি চাল খাই, কিন্তু আমাদের প্রোটিন খাওয়ার হার কম। প্রয়োজনীয় দুধ, ডিম, মাছ-মাংস, ফল-সবজি যেন মানুষ খেতে পায়, সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার (ওয়াপসা-বিবি) সভাপতি মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এমদাদুল হক তালুকদার, বিএলআরই’র মহাপরিচালক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এসোসিয়েশনের মহাসচিব মাহবুব হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।