ডমিনিকান প্রজাতন্ত্রকে বলা হয় ‘নেচার আইল্যান্ড অব দ্য ক্যারিবিয়ান’। এই দ্বীপরাষ্ট্রে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২ ও ৩ জুলাই দুটি টি-২০ খেলবে। ম্যাচ দুটি খেলার জন্য মাহমুদুল্লাহ বাহিনী এখন অবস্থান করছে ডমিনিকায়।
কিন্তু সেন্ট লুসিয়া থেকে যেভাবে ডমিনিকায় ক্রিকেটাররা পৌঁছান, সে যাত্রা ছিল বিভীষিকাময়, ভয়ংকর, ভয়াবহ ও দুঃস্বপ্নের।
যে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে সাড়ে ৫ ঘণ্টার ফেরি ভ্রমণ করে সেন্ট লুসিয়া-মার্টিনিক হয়ে ডমিনিকায় পৌঁছান মাহমুদুল্লাহরা, সারা জীবন এ ভ্রমণ দুঃস্বপ্ন হয়ে বেড়াবে তাদের!
দুই দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৭৩ কিলোমিটার। বিমান যাত্রায় সর্বোচ্চ সময় লাগে ৩০-৩৫ মিনিট। টাইগার ক্রিকেটাররা বিমানে নয়, ডমিনিকায় পা রাখেন ফেরিতে।
টি-২০ স্কোয়াডে নেই বলে দলের সঙ্গে যাননি ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সেন্ট লুসিয়া থেকে সরাসরি গায়ানা গেছেন তিনি। দুটি টি-২০ খেলে টাইগাররা উড়ে যাবে গায়ানা। সেখানে ৭ জুলাই শেষ টি-২০ এবং ১০, ১৩ ও ১৬ জুলাই তিন ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা।
বিমানের ফ্লাইট থাকার পরও কেন ফেরি ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হয়েছে? দুই দিন আগে যেখানে সাইক্লোনে উত্তাল ছিল আটলান্টিক, সেখানে সমুদ্রযাত্রার ব্যবস্থা রাখার কারণ ব্যাখ্যা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
এ্ নিয়ে সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘যখন কোনো দল খেলতে যায় অন্য একটি দেশে, তখন স্বাগতিক দেশ অতিথি দলকে সব ধরনের সহায়তা দেয়। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড স্বাগতিক, তারা বিসিবিকে আগেই ক্রুজ ভ্রমণে সেন্ট লুসিয়া থেকে ডমিনিকায় যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিল। তারা এটাও নিশ্চিত করেছিল একই ক্রুজে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া ম্যাচ রেফারি, আম্পায়াররাও যাবেন। আমাদের বলার কিছু ছিল না।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড ফেরি ভ্রমণের প্রস্তাব বিসিবি কেন মেনে নিয়েছে? যেখানে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের সমুদ্র ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নেই।
বিসিবি সিইও এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিমানের ফ্লাইট যে নেই, এমন নয়। আমরা যোগাযোগ করেছি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। তারা জানিয়েছে, আগে যেসব বিমান চলাচল করত, করোনাকালে সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। এখন যেসব চলে, সেসব বিমান আকারে ছোট। একসঙ্গে সব ক্রিকেটার ও লাগেজ নেওয়া সম্ভব নয়।’