সন্তানের কথা ভেবে আর বিয়ে করবেন না অপু বিশ্বাস!

দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালে গোপনে বিয়ে করেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। প্রায় ৮ বছর সংসারের পর ২০১৬ সালে কলকাতায় প্রথম সন্তানের জন্ম দেন অপু। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও পরের বছরই ছেলেকে নিয়ে টিভি চ্যানেলে হাজির হন এই নায়িকা। জানান, শাকিব খানের সঙ্গে তার বিয়ে ও সংসারের কথা।

সন্তানকে নিয়ে প্রকাশ্যে আসতেই শাকিবের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সম্পর্কে চিড় ধরা পড়ে। নানা নাটকীয়তার পরে ২০১৮ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটে এই জুটি। এরপর থেকে মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন শাকিব-অপু পুত্র আব্রাম খান জয়।

এর মধ্যে নানা সময় সাবেক এই তারকা দম্পতির ফের মিলে যাওয়ার গুঞ্জন ডালপালা মেললেও সেসবের বাস্তব রূপ মেলেনি। ফলে বিচ্ছেদের পর থেকে এখনও ‘সিঙ্গেল মাদার’ হিসেবেই সময় পার করছেন অপু বিশ্বাস।

অন্যদিকে প্রথম সংসার ভাঙনের পর ফের বিয়ে করেন শাকিব খান। ২০১৮ সালেই চিত্রনায়িকা বুবলীর গলায় মালা দেন তিনি। সে ঘর আলো করে আসে পুত্র সন্তান শেহজাদ খান বীর। কিন্তু দ্বিতীয় সংসারও সুখের হয়নি শাকিবের। কয়েক বছরের মধ্যেই বুবলীর থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন তিনি।

এরই মধ্যে নিজের প্রাক্তন স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে আমেরিকায় সময় কাটান এই নায়ক। ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় এই জুটিকে ফের একত্রিত হয়ে সময় কাঁটাতে দেখে ভক্তরাও ভাবতে শুরু করেন, এবার বোধ হয় অতীত ভুলে নতুন করেই সব শুরু করবে শাকিব-অপু।

কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভক্তদের সেই আশায়ও গুড়েবালি। আমেরিকা থেকে ফিরেই শাকিব জানান, এবার দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলী ও সন্তান শেহজাদ খান বীরকে নিয়েও মার্কিন মুলুকে উড়াল দেবেন তিনি। এমনকি সম্প্রতি বীরকে স্কুলে ভর্তি করার সময় শাকিব-বুবলীকে দেখা গেছে পাশাপাশি একই ফ্রেমে। ফলে শাকিব-অপুর মিলে যাওয়ার বিষয়টি যে স্রেফ গুঞ্জন সেটাই আরও একবার প্রমাণ মেলে শাকিবের কর্মকাণ্ডে।

এদিকে প্রথম সংসার ভাঙনের পর বিগত ৫ বছরে ছেলে ও কাজ নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেছেন অপু বিশ্বাস। তাই বলে কি, ভবিষ্যতে ফের বিয়ের পরিকল্পনা নেই অভিনেত্রীর?

সম্প্রতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এই নায়িকা বলেছেন, ‘প্রথম বিয়েটা আমি ভেবে করিনি। তবে দ্বিতীয় বিয়ের কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ভেবে করতে চাই।’

অপু বিশ্বাসের ভাষায়, ‘যখন কোনো মেয়ে ভাবে, সে ফের বিয়ে করবে এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। এমন অবস্থায় ওই মেয়েটা হয়তো সুখী হবে, সে একজন নতুন জীবনসঙ্গী পাবে কিন্তু সন্তান একজন অন্য মানুষকে পাবে। যে তার বাবা নয়, বা যার সঙ্গে তার কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই। ফলে সে কিন্তু সুখী হবে না।’

এরপর নিজের প্রসঙ্গ টেনে অপু বলেন, ‘সুতরাং, এমন এক পদক্ষেপে হয়তো আমি সুখী হবো, কিন্তু আমার সন্তান সুখী হবে না।’

তাহলে কি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আর বিয়ে করবেন না ঢালিউডের জনপ্রিয় এই নায়িকা? অপু, পরিস্কার ভাষায় তেমন কিছুর উত্তর দেননি। তবে জানিয়ে রাখলেন, সন্তানের ‘সুখ’কেই বেশি প্রাধান্য দেবেন তিনি।

অপুর ভাষায়, ‘কার সুখকে বেশি প্রাধান্য দেব? সেটা যদি হয় আমার সন্তান এবং সে যখন জানে, এটাই তার বাবা-মা। হয়তো তারা একই ছাঁদের নিচে থাকছেন না, কিন্তু পরিবার একটাই। বাবা হিসেবেও অন্য কাউকে দেখতে হচ্ছে না। এই বিষয়গুলোই আমি এখন সবচেয়ে বেশি ভাবি।’

দ্বিতীয় বিয়ের পরিকল্পনায় সরাসরি ‘না’ শব্দের ব্যবহার না করলেও অপুর বক্তব্যে স্পষ্ট, আপাতত ছেলে জয়ের খুশিই সবকিছু তার জন্য। যেখানে এই নায়িকা চান না, জয় বাবা হিসেবে শাকিব ব্যতীত অন্য কাউকে গ্রহণ করুক।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ