যেকোনো ধরনের অনিয়মের বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, দোকান বরাদ্দে সব অনিয়ম রোধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ডিএনসিসির প্রধান কার্যালয় নগর ভবনে দোকান বরাদ্দ লটারি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা ট্রেড সেন্টারের পঞ্চম, ষষ্ঠ তলা, ঢাকেশ্বরী মন্দির রোডসাইড মার্কেট ও আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দোকান বরাদ্দের লক্ষ্যে এই লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
শেখ তাপস বলেন, আগে দোকান বরাদ্দের ব্যাপারে নানান ধরনের অনিয়ম ছিল। ফলে প্রকৃত বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় অনেক জটিলতার সম্মুখিন হয়েছেন। এতে করে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাই প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে দোকান বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপারে আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ফলে দোকান বরাদ্দে সকল অনিয়ম রোধ করা সম্ভব হয়েছে।
মেয়র বলেন, অনেক সময় প্রতারক চক্র নানারকম প্রলোভন দেখিয়ে ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আপনাদের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ধরনের প্রতারণা ও জালিয়াতি সম্পর্কে আপনারা সজাগ থাকবেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ আমাদেরকে অবগত করবেন। মনে রাখবেন, কোনও প্রতারক চক্র কিংবা ব্যক্তি আপনাদেরকে অবৈধ উপায়ে দোকান বরাদ্দ দিতে পারবে না। সেজন্য আপনাদের সকলের উপস্থিতিতে এ লটারি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা ট্রেড সেন্টারের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় ১৭৯ জন, ঢাকেশ্বরী মন্দির রোডসাইড মার্কেটে ৪১ জন ও আজিমপুর আধুনিক নগর মার্কেটের ১৫ জন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দোকান বরাদ্দ দিতে এ লটারি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্পোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় লটারির মাধ্যমে দোকান বরাদ্দ অনুষ্ঠানে কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকরামুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন, বাবর আলী মীর, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রঞ্জন বিশ্বাস, সংরক্ষিত আসন ৭ এর কাউন্সিলর শিরিন গাফফার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব সাফিয়া আক্তার সীমু, কর্পোরেশনের উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহান আলী ও রাজস্ব কর্মকর্তা মিয়া মো. জুনায়েদ আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।