মেসিকে ছাড়াই ইন্দোনেশিয়াকে হারাল আর্জেন্টিনা

কাতারে বিশ্বজয়ের পর প্রথমবারের মতো দলের প্রাণভোমরা লিওনেল মেসিকে ছাড়া খেলতে নেমেছে আর্জেন্টিনা। দলে ছিলেন না ডি মারিয়া কিংবা ওতামেন্ডির মতো তারকা ফুটবলাররাও। বেঞ্চের পরীক্ষা ও নতুনদের সুযোগ দেওয়ার মোক্ষম মঞ্চ হিসেবে র‌্যাংকিংয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে এক অভিষিক্ত ও তিন পরিবর্তন নিয়ে দল সাজান স্ক্যালোনি।

যদিও শুরুতে তেমন স্বাভাবিক ফুটবল উপহার দিতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তবে সময় যত গড়িয়েছে তত ধার বেড়েছে আক্রমণের। প্রথমে ডেডলক ভাঙেন পারেদেস। বুলেট গতির শটে আকাশী-সাদা সমর্থকদের স্বস্তি এনে দেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরও বাড়ান ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। র‌্যাংকিংয়ে ১৪৯ ধাপ পিছিয়ে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয়ে এশিয়া সফর শেষ করল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।

সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব শুরু হওয়ার আগে ফিফা উইন্ডোতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে এশিয়া সফরে আসে আর্জেন্টিনা। প্রথম ম্যাচে চীনের বেইজিংয়ে মেসি জাদুতে অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারায় বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।

ইন্দোনেশিয়ার মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই আর্জেন্টিনা কোচ স্ক্যালোনি জানিয়েছিলেন, এই ম্যাচে বেশ কিছু পরিবর্তন থাকছে। খেলছেন না নিয়মিত অধিনায়ক লিওনেল মেসি, উইঙ্গার অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ও সেন্টারব্যাক নিকলাস ওতামেন্ডি। ওয়ার্কলোড কমাতে তাদের বিশ্রামে পাঠান কোচ স্ক্যালোনি।

ইন্দোনেশিয়ার গেলোরা ব্যাং কর্ণ স্টেডিয়ামে আজ (সোমবার) খেলতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে আকাশী-সাদারা। তবে অগোছালো আক্রমণে বারবার গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেও প্রতিপক্ষের রক্ষণ গলাতে পারেননি পাজ্জেলা-পারেদেসরা।

পুরোপুরি রক্ষণাত্মক ইন্দোনেশিয়ার ডিফেন্স ভেঙে জাল ভেদ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। প্রথমার্ধের ১৭ তম মিনিটে ইন্দোনেশিয়ার জালে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস গুঞ্জালেসের নেওয়া জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক সুতাইয়ারদি।

মেসিহীন ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে নামা আর্জেন্টিনা দলে ফিনিশিংয়ের অভাব স্পষ্ট দেখা যায়। ম্যাচের ২৯ তম মিনিটে ইন্দোনেশিয়ান গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড ফাকান্দু বুনানত্তে।

তবে শেষ পর্যন্ত ডেডলক ভাঙেন লিয়ান্দ্রো পারাদেস। ম্যাচের ৩৮ তম মিনিটে এজেকুয়েল পারাসিওসের কাছ থেকে বল পেয়ে দ্বিতীয টাচেই প্রায় মাঝমাঠ থেকে দূরপাল্লার শট নেনে জুভেন্টাস মিডফিল্ডার। পারেদেসের বুলেট গতির শট বাজপাখির মতো ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েও রুখতে পারেননি ইন্দোনেশিয়ার গোলরক্ষক।

গোল হজমের পর প্রায় শোধ দিয়ে দিচ্ছিল স্বাগতিকরা। বিরতিতে যাওয়ার অল্প আগে তাদের পাল্টা আক্রমণ দারুণভাবে প্রতিহত করেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ