ভারতের তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় প্রতি মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে হোয়াটসঅ্যাপ। ওই রিপোর্টে হোয়াটসঅ্যাপ ও ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়ম অবজ্ঞা করে যেসব অ্যাকাউন্ট চালানো হয় সেগুলো ব্যানের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
নতুন আইটি নিয়মে ভারতে গত কয়েক মাসে লক্ষাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। অর্থাৎ, উল্লিখিত সেই ফোন নম্বরগুলো থেকে আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। ১ থেকে ৩০ জুনের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ ভারতে ২২ লাখ ১০ হাজার অ্যাকাউন্ট চিরতরে নিষিদ্ধ করেছে।
যেভাবে ভারতের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়
>> +91 নম্বর দিয়ে একটা ভারতীয়ের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা হয়।
>> কোম্পানির গ্রিভেন্স মেকানিজমের সাহায্য নিয়ে ভারতীয়দের দ্বারা রিপোর্ট করা, অভিযোগ করা অ্যাকাউন্টগুলোকেই ব্যান করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
>> হোয়াটসঅ্যাপ জানাচ্ছে, সাধারণত অ্যাকাউন্টগুলো ব্যান করা হয় ভারতের আইন এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের শর্তাদি লঙ্ঘন করার কারণেই।
>> ব্যবহারকারীরা যদি মনে করেন যে, কোনও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ভারতের আইন ও সংস্থার টার্মস অফ সার্ভিস মানছে না, তাহলে এই আইডিতে গ্রিভেন্স অফিসারের কাছে একটা ই-মেইল পাঠাতে হবে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ হেল্প সেন্টারে ওই অ্যাকাউন্টগুলো সম্পর্কে প্রশ্নও করে পাঠাতে পারেন।
>> গ্রিভেন্স অফিসারের কাছে ই-মেইল অভিযোগ জানাতে একটি ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর করতে হয়। যে নম্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেটিও ই-মেইল জুড়ে দিতে হবে। সঙ্গে ভারতের কোড (ভারত হলে +91)।
>> যে ব্যক্তি বা গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে, তার বা তাদের শেষ পাঁচটি মেসেজ হোয়াটসঅ্যাপ পেয়ে যায়। যে বা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কী ধরনের মেসেজ পাঠিয়েছিলেন, ছবি, ভিডিও নাকি টেক্সট, তার সবই হোয়াটসঅ্যাপ জানতে পারে।
>> যেকোনো মেসেজ দীর্ঘক্ষণ চাপ দিয়ে রাখলে রিপোর্ট বা কমপ্লেন বেছে নেওয়ার অপশন দেখায় হোয়াটসঅ্যাপ। একটা মেসেজ দীর্ঘক্ষণ চাপ দিয়ে রাখলে যেসব অপশন দেখায়, তার মধ্যে থাকে ‘রিপোর্ট’। রিপোর্টে ক্লিক করলে ইউজাররা আরও দুটি অপশন দেখতে পান- রিপোর্ট ও রিপোর্ট অ্যান্ড ব্লক। একজন প্রেরক যে অপশনে ক্লিক করেন, সেটি ওই ব্যক্তিকে জানানো হয় না।