করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে এখন পর্যন্ত টিকার বুস্টার ডোজ নিয়েছেন চার কোটি ৪৩ লাখেরও বেশি মানুষ। গত একদিনেই (১০ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে ৭০ হাজারের বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৩ কোটি ৮ লাখ ৯ হাজার ২৮৮ জন। এছাড়া দুই ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন ১২ কোটি ১৪ লাখ ৩ হাজার ৬১৯ জন মানুষ। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছে ৪ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৩৪৮ জন।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার) সারাদেশে ৩০ হাজার ১৭২ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৮ হাজার ১৭ জনকে। এছাড়াও টিকার বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ৭০ হাজার ৩৬০ জন। এগুলো দেওয়া হয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা।
গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৭৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭৮ জনকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৯৩৭ জনকে।
এরপর গত ২৫ আগস্ট থেকে দেশব্যাপী আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এই কার্যক্রমে ইতোমধ্যে ৮ লাখ ২৪ হাজার ৯৭৮ শিশু প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছে। তবে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে টিকা নিয়েছে মাত্র ১৫০ জন শিশু।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ৫ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।