হঠাৎ জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে বিপর্যয়ের কারণে বিদুৎবিহীন হয়ে পড়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকা। ফলে এসব এলাকার পোশাক কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে।
পোশাক কারখানার উদ্যোক্তারা জানান, মঙ্গলবার অন্যান্য দিনের মতোই পোশাক কারখানাগুলো বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা ছিল। কিন্তু বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে দুপুর ২টার পর থেকে জেনারেটর দিয়ে চালানো হয়েছে। এতে খরচ যেমন বেড়েছে পণ্যের মানও কমেছে।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি কারখানায় জেনোরেটর দিয়ে উৎপাদন চালানো হয়েছে। জেনোরেটর দিয়ে কাজ চললে পণ্যের মান খারাপ হয়ে যায়। উৎপাদনও খরচ বেড়ে যায়। এ অবস্থায় অব্যাহত থাকলে বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়বে পোশাক খাত।
বিজিএমইএর সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী বলেন, দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে পোশাক কারখানায় বিশেষ করে টেক্সটাইল ও ওয়াশিং সেক্টরে সমস্যা হতে পারে।
তবে, সন্ধ্যার পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সঞ্চালন লাইনে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পূর্বাঞ্চলের ঝামেলা এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকিগুলোও সমাধান হচ্ছে। ঢাকা-টঙ্গী এলাকায় এখনো ঝামেলা আছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন রাত ৮টার মধ্যে ঢাকা শহরের সব এলাকা ও ৯টার মধ্যে চট্টগ্রামের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।