পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ইংল্যান্ড। ফাইনালের মঞ্চে ৫ উইকেটের জয় পায় জস বাটলারের দল। এর আগে ২০১০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথমবার ২০ ওভারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইংলিশরা।

পাকিস্তানের সামনেও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি ছিল। দলটি ২০০৯ ইংল্যান্ড আসরে শ্রীলংকাকে হারিয়ে ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল। তবে আজ পর্যাপ্ত রান তুলতে পারায় হারতে হলো বাবর আজমদের। এছাড়া ১৯৯২ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের সুখস্মৃতি ফেরাতে ব্যর্থ হলো দলটি।

ইংল্যান্ডের জন্য এই শিরোপাটি আরও আনন্দের। কেননা সবশেষ ২০১৯ ঘরের মাঠের ওয়ানডে বিশ্বকাপও তারাই জিতেছিল। ফলে সাদা বলে টানা দুটি বিশ্বকাপ ঘরে তুলল থ্রি-লায়ন্সরা।

আজ রোববার ফাইনালে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে প্রথমে ব্যাট করা নামা পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে। জবাবে ৫ বেন স্টোকসের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ও ৬ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।

১৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য হোঁচট খায় ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারেই আউট হন ইংল্যান্ড ওপেনার অ্যালেক্স হেলস (১)। ওভারের শেষ বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি বলে বোল্ড হন এই ডানহাতি।

নিজের পর পর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন হারিস রউফ। প্রথমে ইফতিখারের ক্যাচে ১০ রান করা ফিল সল্টকে ফেরান। এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ভয়ঙ্কর জস বাটলারকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত করেন। ১৭ বলে ২৬ রান করেছেন বাটলার।

এরপর চতুর্থ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। ২০ রান করা হ্যারি ব্রুককে শাহিন শাহ আফ্রিদির ক্যাচে ফেরান শাদাব খান।

মাঝে পাকিস্তানি বোলাররা বেশ চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২.১ ওভারের পর মাঠ থেকে উঠে গেলে স্বস্তি ফেরে ইংলিশ শিবিরে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে মঈন আলীকে নিয়ে ৩৩ বলে ৪৭ তুলে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান বেন স্টোকস। মঈন শেষ দিকে ১২ বলে ১৯ করে মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে ফিরে গেলেও উইকেটে অবিচল থাকেন স্টোকস। অপরাজিত হাফসেঞ্চুরি করেই তিনি দলকে জেতান। ৪৯ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ৫২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি তারকা।

পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট পান হারিস রউফ।

টস হেরে এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরুটা ভালো করলেও পঞ্চম ওভারে প্রথম উইকেট হারায়। স্যাম কারানের বলে ইনসাইডেজ বোল্ড হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ১৪ বলে একটি ছক্কায় ১৫ রান করেন এই ব্যাটার। পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেট হিসেবে মোহাম্মদ হারিসকে হারিয়েছে। অষ্টম ওভারে আদিল রশিদের বলে বেন স্টোকসকে ক্যাচ দেন ৮ রান করা এই ডানহাতি। এরপরই দলীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পায় পাকিস্তান।

১৩তম ওভারে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ১২তম ওভারে আদিল রশিদের বলে তাকেই ক্যাচ দেন বাবর আজম। ২৮ বলে ২টি চারে ৩২ করেন পাকিস্তান অধিনায়ক। পরের ওভারে শূন্য রানে বেন স্টোকসের বলে আউট হন ইফতিখার আহমেদ।

দলীয় শতকের পর শান মাসুদ ও শাদাব খান ৩৬ রানের জুটি গড়েন। কিন্তু ১৭তম ওভারে বিদায় নেন শান মাসুদ। স্যাম কারানের দ্বিতীয় শিকারে তিনি লিয়াম লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দেন। ২৮ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৮ করেন মাসুদ। পরের ওভারেই ক্রিস জর্ডানকে তুলে মারতে গিয়ে আউট হন ২০ রান করা শাদাব খান।

ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খ্যাত মোহাম্মদ নওয়াজও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫ রানে তিনি স্যাম কারানের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। শেষ ওভারে ক্রিস জর্ডানের বলে ফেরেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

দারুণ বল করা কারান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট তুলে নেন। ২২ রানে ২টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ২টি উইকেট পান জর্ডানও।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ