নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে কোনো বাংলাদেশি ছিল না। ১৫ বিদেশিসহ ৬৮ জন যাত্রী ও ৪ জন কেবিন ক্রু ছিল উড়োজাহাজটিতে।
রোববার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পোখারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান বিক্রম গৌতম।
তিনি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া অস্ট্রেলিয়ান, দক্ষিণ কোরিয়ান, রাশিয়ান, আর্জেন্টাইন এবং আইরিশ নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি ঐ উড়োজাহাজে ছিলেন না।
ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের পর এখন পর্যন্ত ৪৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় উড়োজাহাজে যেতে ২৫ মিনিট সময় লাগে। বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের ২০ মিনিট পর পোখারার নতুন ও পুরাতন বিমানবন্দরের মাঝামাঝি একটি পাহাড়ি এলাকায় আছড়ে পড়ে। এরপর উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়।
দুর্ঘটনার পর ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বার্তৌলা জানান, উড়োজাহাজের কোনো আরোহী বেঁচে আছেন কিনা জানা যায়নি।
পোখারার স্থানীয় এক বাসিন্দার মোবাইলে উড়োজাহাজটি আছড়ে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়ে। ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি হেলে-দুলে এগিয়ে আসছে। একটা সময় এটি উল্টে যায়। পরক্ষণেই বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।