নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

সিরিজ হাতছাড়া হয়ে গেছে আগেই। আদতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। তবে বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি ছিল অনেকদিক দিয়ে গুরুত্ববহ। হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোই শুধু নয়, ইতিহাস গড়ার হাতছানিও যে ছিল!

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট জিতলেও এর আগে কখনই সীমিত ওভারে (ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি) জয় দেখেনি বাংলাদেশ। অবশেষে সেই জয় ধরা দিলো ওয়ানডে ফরম্যাটে। কিউইদের মাত্র ৯৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেট আর ২০৯ বল হাতে রেখে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে সফরকারীরা তিন ম্যাচ সিরিজ শেষ করেছে ২-১ ব্যবধানে হেরে।

টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে পড়ে মাত্র ৯৮ রানেই অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। এদিন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষের ১০টি উইকেটই নিলেন পেসাররা। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড গড়ল কিউইরা। দেশের মাটিতে এই রান তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন।

৯৯ বা তার কম রানের লক্ষ্যে এই ম্যাচের আগেও কখনো হারেনি বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে একটু বেশি দাপট দেখিয়েই জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। চোখের সমস্যার কারণে সৌম্য সরকার উঠে যাওয়ার পর শেষদিকে এনামুল হক বিজয় বিদায় নিলেও ৯ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

নেলসনে আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হয় ম্যাচ। শুরুতেই বল হাতে রুদ্ররূপ দেখান শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। ২২ রানের মধ্যেই কিউই ওপেনার রাচীন রবীন্দ্র ও তিনে নামা ব্যাটার হেনরি নিকোলসকে ফিরিয়ে উৎসব শুরু করেন তানজিম হাসান সাকিব। এই উইকেটেই ৫৮ রান পর্যন্ত চলে গিয়েছিল তারা। যদিও রান কম দিয়ে আঁটসাঁট বোলিং করছিলেন এই দুজন। তবে এরপর ৭০ রানের মধ্যেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেটে। পরবর্তী ৪ উইকেটের ১টি সাকিবের, শরিফুলের ৩টি।

নিউজিল্যান্ডের লেজের ব্যাটারদের ছাঁটাইয়ের কাজটা করেন সৌম্য। দ্রুতই তিনি ৩ উইকেট তুলে নিলে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে কিউইরা। তাদের দুর্গে শেষ আঘাত হানেন মোস্তাফিজুর রহমান। ২৫ ওভারের আগেই ৯৮ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড।

৯৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরুই করেছিলেন দুই বাংলাদেশ ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও সৌম্য সরকার। তবে ১৫ রানের মাথায় চোখে কিছু একটা সমস্যা হওয়ায় মাঠ ছাড়েন সৌম্য। এরপর নামেন অধিনায়ক শান্ত। এই দুজন মিলে তুলোধুনো করতে থাকেন কিউই বোলারদের।

দুজনে মিলে গড়ে ফেলেন ৬৯ রানের জুটি। ৮৪ রানের মাথায় ও’রর্কের বলে ফেরেন বিজয়। ৩৩ বলে ৭ চারে ৩৭ রান করে ফেরেন তিনি। তবে লিটন দাসকে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়েই মাঠ ছাড়েন শান্ত। ৪২ বলে ৮ চারে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ