পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার থেকে সব ফরাসি সেনাদল প্রত্যাহার করেছে ফ্রান্স। এর মাধ্যমে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ফ্রান্সের এক দশকের বেশি সময়ের অভিযান শেষ হলো। তবে দেশটিতে এখনো যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি ও জার্মানির শত শত সেনা রয়েছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
নাইজার সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট সেলিম ইব্রাহিম শুক্রবার বলেছেন, আজ ফরাসি বাহিনীর প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া পুরোপুরি শেষ হয়েছে।
গত জুলাই মাসের সেনা অভ্যুত্থানে পর থেকে নাইজারের নতুন জান্তা সরকারের সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। এ ছাড়া দেশটির জনগণের মধ্যেও ফ্রান্সবিরোধী মনোভাব অনেক বেড়ে যায়। নাইজার থেকে প্রায় দেড় হাজার ফরাসি সেনা প্রত্যাহারে রাজধানী নিয়ামির ফরাসি সেনাঘাঁটির সামনে পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন তারা। প্রথমে সায় না দিলেও পরে চাপের মুখে ফরাসি সেনা প্রত্যাহারে রাজি হন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ।
এরে আগে পশ্চিম আফ্রিকার আরও দুটি দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসো থেকেও ফরাসি সেনাদের বের করে দেয়া হয়। নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসো—তিনটি দেশই ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ।
এই তিন দেশেই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো বেশ তৎপর। তাদের দমনে এতদিন ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে আসছিল দেশ তিনটি। তবে ২০২০ সাল থেকে এই অঞ্চলে একের পর এক অভ্যুত্থান এবং এর ফলে জনগণের মধ্যে ফরাসি বিরোধী মনোভাব বেড়ে যাওয়ায় ফ্রান্সের সঙ্গে সম্পর্ক ছিড় ধরে। ফলে এই অঞ্চলে রাশিয়ার আধিপত্য বাড়তে থাকে।