চীন-রাশিয়ার ১৬ কোম্পানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

চীন ও রাশিয়ার ১৬টি কোম্পানির বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে সামরিক সহায়তার অভিযোগে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্য কালো তালিকায় যুক্ত করেছে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে অংশ নিতে ড্রোন তৈরির জন্য কিছু উপাদান সরবরাহ করার অভিযোগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সোমবার ১১টি চীনা এবং পাঁচটি রাশিয়ান কোম্পানির ওপর নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি নীতি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ কিছু ফিনিশ এবং জার্মান কোম্পানিসহ মোট ২৮টি সংস্থাকে বাণিজ্য কালো তালিকায় যুক্ত করেছে। এতে করে এসব প্রতিষ্ঠানে মার্কিন সরবরাহকারীদের জন্য তাদের প্রযুক্তি পাঠানো কঠিন করে তুলবে।

চীনের এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড এবং রাশিয়ার এসএমটি-আইলজিকসহ নয়টি কোম্পানি রাশিয়ার মেইন ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেট অব দ্য জেনারেল স্টাফ (জিআরইউ)-এর জন্য ড্রোন যন্ত্রাংশ সরবরাহ করার পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।

রয়টার্স এবং রাশিয়ান মিডিয়া আউটলেট আইস্টোরিজ লন্ডনের প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় গত বছর ড্রোনের যন্ত্রাংশ রাশিয়ায় পাঠানোর একটি ষড়যন্ত্র উন্মোচন করেছিল।

তদন্তে দেখা গেছে, হংকংভিত্তিক রপ্তানিকারক এশিয়া প্যাসিফিক লিংকস লিমিটেড রাশিয়ার ড্রোন সরবরাহকারীদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি সংস্থা এসএমটি আইলজিকের সঙ্গে এই ফার্মটি গত মে মাসে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি এসব সংস্থা।

মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ প্রধান অ্যালান এস্তেভেজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যারা ইউক্রেনে পুতিনের অবৈধ ও অনৈতিক যুদ্ধে সরঞ্জাম সরবরাহ ও সমর্থন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত এবং অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে আমরা দ্বিধা করব না।’

এর আগে গত মঙ্গলবার তেহরানের ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণকে কেন্দ্র করে ইরান, রাশিয়া, চীন ও তুরস্কের সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন।

একইদিন এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ওই সাত ব্যক্তি ও চার প্রতিষ্ঠান ইরানের এয়ারক্রাফট ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল কোম্পানির চালান ও লেনদেনে সহায়তা করেছে। একইসঙ্গে তারা দেশটির ড্রোন ও সামরিক বিমান নির্মাণের প্রচেষ্টায়ও সহায়তা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ