ফিল্ম নগরীতে মধুচক্র চালানোর মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল অভিনেত্রী তথা কাস্টিং ডিরেক্টর আরতি মিত্তলের বিরুদ্ধে। রীতিমতো ফাঁদ পেতে একেবারে হাতেনাতে মধুচক্র ধরে আরতিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে, গোরেগাঁও এলাকায় রমরমিয়ে চলছিল এই মধুচক্র। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ফাঁদ পেতে সেই চক্রই ধরল দিনদোশি পুলিশ ও মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ ইউনিট ১১। ওই এলাকা থেকে ২ জন মডেলকেও উদ্ধার করা হয়েছে। আর গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ বছর বয়সী কাস্টিং ডিরেক্টর আরতিকে। অভিযোগ, ওই অভিনেত্রীই দুই মডেল এবং অন্যান্য মেয়েদের টাকার লোভ দেখিয়ে এই পেশায় আসার জন্য প্ররোচিত করেছিলেন।
কিন্তু কে এই আরতি মিত্তল? টেলিভিশন শো আপনাপন-এ অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি লাভ করেছিলেন এই অভিনেত্রী। কিছু সময় আগেই অভিনেতা আর মাধবনের সঙ্গে একটি ছবির শুটিং করছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন আরতি।
কিন্তু কীভাবে এই ফাঁদ পাতল পুলিশ? এই যৌন চক্রের বিষয়ে খবর পেয়ে ইনস্পেক্টর মনোজ সুতার ‘খদ্দের’ সেজে আরতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। নিজের দুই বন্ধুর জন্য দুটো মেয়ে চেয়ে আরতির কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন ওই ইনস্পেক্টর। তবে মেয়েদের ছবি পাঠানোর আগে খদ্দেররূপী ইনস্পেক্টরের কাছ থেকে একটা প্রায় ৬০ হাজার টাকা চেয়েছিলেন অভিযুক্ত অভিনেত্রী।
এক পুলিশ অফিসারের কথায়, প্রথমে ইনস্পেক্টর সুতারের ফোনে দুই জন মহিলার ছবি পাঠায় আরতি। গোরেগাঁও অথবা জুহুর কোনো হোটেলে ওই মডেলরা আসবেন বলেও জানান তিনি। আর সেখানেই ফাঁদ পাতেন সুতার। দুটি হোটেল বুক করেন এবং সেখানে দু’জন ভুয়ো খদ্দেরকে পাঠিয়েছিলেন ওই ইনস্পেক্টর। দুই মডেলকে নিয়ে নির্ধারিত সময়ে আরতি যথাস্থানে পৌঁছে যান এবং দুই খদ্দেরকে কন্ডোমও দেন। আর এই গোটা ঘটনাটাই গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করার পরে ওই দুই মডেলকে রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে। পুলিশি জেরায় তারা জানিয়েছেন যে, আরতি তাদের প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ঘটনা প্রসঙ্গে আরো অনেক বিষয়ই জানা গিয়েছে ওই দুই মডেলের কাছ থেকে। আপাতত ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।