প্রতিবারের মতো এবারের ঈদেও ভক্ত-দর্শকদের জন্য চমক নিয়ে হাজির হলেন ড. মাহফুজুর রহমান। তবে এবার আর কোনো বাংলা গান নয়, সরাসরি পাকিস্তানি গজল গেয়ে চমক উপহার দিলেন এই সংগীতশিল্পী। তার গায়কী নিয়ে নেটমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে প্রচার হবে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘হৃদয় তোমাকেই চায়’। এতে গজল সম্রাট ও পাকিস্তানের গজল গায়ক মেহেদী হাসানের ‘ও মেরে সামনে’, ‘প্যায়ার ভারে দো শার্মিলে ন্যান’, ‘রাফতা রাফতা’ও গাইবেন তিনি।
জানা গেছে, অ্যালবামের গানগুলো নতুন করে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ। এটিএন বাংলার স্টুডিওতেই গানগুলোর চিত্রায়ণ সম্পন্ন হয়েছে।
ড. মাহফুজুর রহমানের গান প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। তবে তার কণ্ঠে গজল শুনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন নেটিজেনরা। হাসিনা আক্তার নামে একজন লিখেছেন, ‘চর্চা যে বয়স মানে না তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। গান ছেড়ে দিয়েছি আবারও ধরতে ইচ্ছা করছে। অদ্ভুত লাগছে যে উনার তাল-লয়-সুরের অনেক উন্নতি হয়েছে। মনের ইচ্ছা বড় শক্তি।’ এমন অসংখ্য ইতিবাচক মন্তব্য পড়েছে কমেন্ট বক্সে।
অবশ্য নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন কেউ কেউ। একজনের মন্তব্য, ‘আমি নিশ্চিত এখন কোনো মিডিয়ার লোক বলবে না যে, দেশে রুচির দুর্ভিক্ষ হচ্ছে। কারণ, এই শিল্পী একটা টিভি চ্যানেলের মালিক। আমাদের তথাকথিত জ্ঞানী সমাজ কতই না হাস্যকর!’
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে প্রথমবার একক সংগীতানুষ্ঠান নিয়ে হাজির হয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান। ‘হৃদয় ছুঁয়ে যায়’ শীর্ষক সে অনুষ্ঠানের পর থেকে প্রতি ঈদেই গান শোনাচ্ছেন তিনি। বিতর্ক, সমালোচনা হলেও দমে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। নিজের ওপর ভরসা রেখে গান করেই যাচ্ছেন।