টানা দুই হারে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে এসে ব্যর্থতার সেই বৃত্ত ভেঙেছে তারা। এই জয়ে ফাইনাল খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশের যুবারা। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রোববার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফাইনালে খেলতে ওই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হবে তাদের।
আবু ধাবির টলেরেন্স ওভালে শুক্রবার দিবা-রাত্রির ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৫১ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফিরতি দেখায় ২৯২ রান তাড়ায় আফগানরা থামে ২৪১ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারায় বাংলাদেশ। তিন নম্বরে নেমে পাল্টা আক্রমণ চালান জিসান আলম। তবে ঝড়ো শুরুর পর ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। ৭ চারে স্রেফ ২২ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন তিনি।
চতুর্থ উইকেটে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন আহরার ও আরিফুল। যুব ক্রিকেটে চতুর্থ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের রেকর্ড এটি। যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের যুবাদের এর চেয়ে বড় জুটি আছে স্রেফ ৫টি। নোমান মোমান্দের বলে কাহলেল আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আহরার। তিনি ৮ চার ও ১ ছয়ে করেন ১০০ বলে করেন ৮৭ রান।
অধিনায়ক ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন আরিফুল। ১২৮ বলে ইনিংসে ৯ চার ও ১টি ছয় মারেন ডানহাতি এই ব্যাটার। শেষ দিকে ২টি করে চার-ছয়ে ১৪ বলে ২৯ রান নিয়ে বাংলাদেশকে ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে দেন মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই জোড়া বাউন্ডারি মারে আফগানিস্তান। ৪ ওভারে করে ফেলে ৩৩ রান। তবে এরপর রানের চাকা টেনে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। পরের ১১ ওভার থেকে আসে সেফ ১৭ রান। ষোড়শ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রাফি উজ জামান রাফি। হিজবুল্লাহ দোরানি ফেরেন ৫৬ বলে ৪৩ রান করে।
অপর প্রান্তে দলের অধিনায়ক নোমান শাহ আঘা দায়িত্ব নিয়ে খেলতে থাকেন। তবে অন্যদের কাছ থেকে তেমন সমর্থন পাননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে জয়ের কাছে যেতে থাকে বাংলাদেশ। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও তা করতে পারেননি আফগান অধিনায়ক। ৪২তম ওভারে রাফির বলে কট বিহাইন্ড হন তিনি। ৯ চার ও ২ ছয়ে ১০৯ বলে খেলেন ৯৩ রানের ইনিংস।