ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে স্নাইপার হিসেবে যোগ দেওয়া ব্রাজিলের একজন মডেল রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন। মাত্র তিন সপ্তাহ আগে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান বলছে, ৩৯ বছর বয়সী থালিতা দো ভ্যালে এর আগে বিশ্বজুড়ে একাধিক মানবিক মিশনে যোগ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ইরাকে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিনি।
সোমবার ইউক্রেনের খারকিভে তার বাঙ্কারে রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে বাঙ্কার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি প্রাণ যায় ব্রাজিলের এই মডেলের। ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে উত্তর-পূর্ব ইউক্রেনীয় এই শহরটিতে প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়া।
একই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ব্রাজিলের সাবেক সেনা সদস্য ডগলাস বুরিগোও (৪০) মারা গেছেন। থালিতাকে খুঁজতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাঙ্কারের কাছে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, খারকিভের একটি এলাকায় প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হওয়ার পর সেখানে একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে ডগলাসই জীবিত ছিলেন। আইনে পড়াশোনা করা থালিটা এর আগে মডেল এবং অভিনেত্রী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। পরে যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা ইউটিউবে প্রচার করতেন তিনি।
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের সশস্ত্র সামরিক বাহিনী পেশমার্গায় যোগ দিয়ে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন তিনি। পেশমার্গায় যোগ দিয়ে স্নাইপার প্রশিক্ষণ নেওয়ার ভিডিও ইউটিউবে ছেড়েছিলেন থালিতা।
মানুষের প্রাণ রক্ষা এবং মানবিক মিশনে অংশ নেওয়ায় বোন থালিতাকে ‘বীর’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন তার ভাই থিও রদ্রিগো ভিয়েরা। তিনি বলেছেন, থালিতা মাত্র তিন সপ্তাহ ইউক্রেনে ছিলেন। সেখানে উদ্ধারকর্মী এবং শার্পশুটার হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি।
এর আগে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে রাশিয়ার বোমা হামলা থেকে অল্পের জন্য একবার প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন থালিতা। রুশ সৈন্যরা নজরদারি করায় ফোনে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারবেন না বলে গত সপ্তাহে পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন তিনি।
থালিতা সর্বশেষ গত সোমবার পরিবারের সাথে কথা বলেছিলেন। এরপরই তিনি কিয়েভ থেকে খারকিভ শহরে যান।