গত কয়েকদিনের বৃষ্টির অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির সঙ্গে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দামও। এর মধ্যে রসুন, ডিম, পেঁপে, টমেটো, গাজর, কাঁচা মরিচের দাম বেশি বেড়েছে। রসুনের দাম বেড়ে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ১১০ টাকা। ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ১০৫-১০৮ টাকা ছিল। টমেটো ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের গাজর ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার (১৫ মে) রাজধানীর কাপ্তান বাজার, শনিরআখড়া ও কাজলা কাঁচা বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কাজলা কাঁচা বাজারের সবজি বিক্রেতা আশরাফ হোসেন বলেন, ঈদের পরের সব সবজির দাম আনুপাতিক হারে বেড়েছে। কারণ সব মানুষ ঈদের ছুটি শেষে ঢাকা আসায় চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে সবজির দামও বেড়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টির একটা প্রভাবও রয়েছে।
কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী খবির উদ্দিন বলেন, পাইকারি বাজারেও সব পণ্যের দাম বেড়েছে। রাজধানীর শ্যামবাজারে রসুন ১৩৫ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, টমেটোর দাম কেজিপ্রতি ৭০-৮০ দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পরের সপ্তাহে টমেটোর কেজি প্রতি দাম ছিল ৪০ টাকা। এছাড়া কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সজনে ৮০ টাকা, নতুন কচুমুখি ৮০ টাকা, করলা ৬০, পেঁপে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের পর পেঁপের দাম কেজি ছিল ৪০ টাকা। পটল, মূলা, বরবটি ৫০ টাকা করে, ঢেঁডস, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা করে এবং বগুড়ার লাল আলু ৩০ টাকা, সাদা আলু ২০, শসা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া
পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে ও পরের সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ টাকা কেজি।
অন্যদিকে মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, লাউ ৫০, ফুলকপি ৫০, বাঁধাকপি ৪০ এবং চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস হিসেবে এবং কাঁচা কলা ৪০ টাকা ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
কাপ্তান বাজারের সবজি ক্রেতা চাকরিজীবী সানোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কি আর বলবো ভাই। সব সবজিরই দাম বেশি। গত সপ্তাহে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ কিনেছিলাম ২০ টাকায়। আজ কিনলাম ৩০ টাকায়।
আরেক ক্রেতা সগির উদ্দিন বলেন, কখন যে কোন সবজির দাম বাড়ে আমরা কিছুই বুঝতে পারি না। দোকানিরা যে দাম বলে আমাদের সেই দামেই কিনতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে কাঁচা বাজারও মনিটরিং করা উচিত।