আগেরদিনই বোঝা গিয়েছিলো, দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের স্কোর খুব বেশি বড় হবে না। ৬৭ রানে যেখানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিলো, সেখানে একা মোহাম্মদ রিজওয়ানের কিছু করারও ছিল না।
তবুও আমির জামালকে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের রান তিন অংকের ঘর পার করে দিয়েছিলেন রিজওয়ান। পরে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে বাকি তিন উইকেট পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি। ১১৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রানের। শুরুতেই উসমান খাজার উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হলেও অস্ট্রেলিয়াকে আর বিপদে ফেলতে পারেনি পাকিস্তানি বোলাররা। যার ফলে ২৫.৫ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। দেড় দিন বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় প্যাট কামিন্সের দল।
তিন টেস্টের সিরিজে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হলো ৩-০ ব্যবধানে। পার্থে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ৩৬০ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৭৯ রানে। শেষ টেস্টে জিতলো তারা ৮ উইকেটের ব্যবধানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষটা রাঙান ডেভিড ওয়ার্নার। অনবদ্য এক হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। আউট হয়েছিলেন ৫৭ রানে। মার্নাস লাবুশেন ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন। হেরে গেলেও পাকিস্তানের নতুন ক্রিকেটার আমের জামাল ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে হলেন ম্যাচ সেরা।
প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং শেষ দিকে আমের জামালের নৈপুণ্যে ৩১৩ রান করতে সক্ষম হয়েছিলো পাকিস্তান। কামিন্স, হ্যাজলউড, স্টার্ক এবং নাথান লিওনেদের তোপের মুখেও ৩০০ পার করে পাকিস্তান।
জবাবে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে লিডও নিতে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। অলআউট হয়েছে ২৯৯ রানে। ১৪ রানের লিড নেয় পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া বোলারদের তোপের মুখে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে শান মাসুদের দল।
তৃতীয় দিন শেষ করেছিলো তারা ৭ উইকেটে ৬৮ রান নিয়ে। চতুর্থ দিন সকালে ব্যাক করতে নেমে বাকি ৩ উইকেটে ৪৭ রান যোগ করতে সক্ষম হলো তারা। মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হন ২৮ রানে। আমের জামাল করেন ১৮ রান। জস হ্যাজলউড নেন ৪ উইকেট। ৩টি নেন নাথান লিওন। ১টি করে নেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স এবং ট্রাভিস হেড।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ না হতেই আউট হয়ে যান উসমান খাজা। সাজিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি। এরপর ওয়ার্নার এবং মার্নাস লাবুশেন মিলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন। ৭৫ বলে ৫৭ রান করেন ওয়ার্নার এবং ৭৩ বলে ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন লাবুশেন।