বেতন বাড়ানোসহ ঈদ বোনাস ও নববর্ষ ভাতার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘আউটসোর্সিং’ সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা। একইসঙ্গে অস্থায়ী এ কর্মীরা সরাসরি সেবাদানকারীদের সঙ্গে চুক্তিতে নিয়োগ চান।
রোববার (১৯ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে এ দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন তারা। চিঠিতে ‘আউটসোর্সিং’ কর্মীরা জানান, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ‘আউটসোর্সিং বন্দোবস্ত নীতিমালা’ শীর্ষক সার্কুলার জারি করে কর্মচারীদের সর্বনিম্ন বেতন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। কর্মচারীদের বেতন ভাতাদির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট আউটসোর্সিং কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারবে- তা থেকে ও আমরা বঞ্চিত।
সার্কুলার বলা হয়েছে, বিভাগীয় শহরসহ নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর শহর এলাকায় কর্মরত কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি হবে ২৪ হাজার টাকা, অন্যান্য জেলা শহরে ২১ হাজার টাকা এবং উপজেলা পর্যায়ে ন্যূনতম বেতনভাতাদি হবে ১৮ হাজার টাকা। এ নির্দেশনা থেকে বঞ্চিত বলে দাবি করেছেন ‘আউটসোর্সিং’ কর্মীরা। তারা বলেন, বর্তমানে আমাদের বেতন দেওয়া হয় ১৭ হাজার ৬১০ টাকা। আগে দুটি ঈদ বোনাস ও নববর্ষ ভাতা দেওয়া হতো, যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য ৩৫ শতাংশ থেকে ৯৫ শতাংশ বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের এ ঊর্ধ্বগতির ফলে ‘আউটসোর্সিং’ কর্মীরা পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না। বাড়তি খরচ মেটাতে গিয়ে ঋণের পাল্লা বেড়ে যাচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে জীবন যাপন করছেন। ছেলে-মেয়েদের ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করানো সম্ভব হচ্ছে না।
চিঠিতে তারা বলেন, দীর্ঘ দিন কাজ করে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভালোবাসা ও মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেছি। আমরা যাতে বাকি জীবন এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পারি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সম্মানজনকভাবে বিদায় নিতে পারি, সে জন্য আপনি (গভর্নর) আমাদের একটি সুব্যবস্থা করে দিতে পারেন।
ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে মানবিক বিবেচনায় সরাসরি সেবাদানকারীর সঙ্গে চুক্তিতে নিয়োগ দিতে গভর্নরের কাছে আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ‘আউটসোর্সিং’ সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা।