ক্যান্সার এমন একটি রোগ যা একটা পরিবারকে তছনছ করে দেয়। যিনি আক্রান্ত হয়েছেন তার সঙ্গে সমান তালে লড়ে যেতে হয় পরিবারের বাকি সদস্যদেরও।
এর চিকিৎসায় একদিকে যেমন প্রচুর সময় লাগে, তার সঙ্গে প্রয়োজন হয় অর্থেরও। সব কিছুর পরও আক্রান্ত ব্যক্তি যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন তার নিশ্চয়তা নেই।
যেসব ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ তার মধ্যে অন্যতম হলো- অগ্ন্যাশয় বা প্যাংক্রিয়াসের ক্যান্সার। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। মোটামুটি ৬ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগী একদম সুস্থ হন। এরসঙ্গে সবচেয়ে বড় কথা হলো এ ক্যান্সার খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
এই ক্যান্সারের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে- হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া, অতিরিক্ত দুর্বলতা, পেটে ব্যথা, জন্ডিস, ফ্যাকাশে পায়খানা, বমি ইত্যাদি।
কারা বেশি ঝুঁকিতে
বলা হয় ওজন বেশি থাকা এই ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ। অনেক গবেষণাতেই বিষয়টি উঠে এসেছে। তাই ওজন বেশি থাকলে সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। আর সবচেয়ে ভালো হবে ওজন কমিয়ে আনা।
ওজন ছাড়াও ডায়াবেটিসের সঙ্গেও প্যাংক্রিয়াসের সম্পর্ক রয়েছে। কারণ ডায়াবেটেস হলে অগ্ন্যাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ কমে যায়। ফলে কোনো কারণে প্যাংক্রিয়াসের কোষে সমস্যা হলে দেখা দিতে পারে প্যাংক্রিয়াটিস ক্যান্সার।
অ্যাসবেস্টস, নিকেল, ক্রোমিয়াম, সার থেকে বিভিন্ন রাসায়নিকের সংস্পর্শে আসার কারণেও এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে মাত্র দুটি সিগারেট খেলেও ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে যায়। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে অবশ্যই তা বাদ দেওয়া উচিত।