দক্ষিণ আফ্রিকায় ওয়ানডে সিরিজ জিতলেও টেস্ট সিরিজে রীতিমতো হোয়াইটওয়াশই হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। তাও আবার দুই টেস্টেই চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করে দুই অঙ্কে গুটিয়ে গেছে দল, হেরেছে বিশাল ব্যবধানে। পরিস্থিতিটা খারাপ, তবে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মমিনুল হক একে তেমন ভীতিকর কিছু হিসেবে দেখলেন না মোটেও।
আজ বুধবার দেশে ফিরে দলের অধিনায়ক মুখোমুখি হন সংবাদ মাধ্যমের। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, এটা অ্যালার্মিং না। এমনটা কিন্তু অনেকবারই হয়েছে, বাংলাদেশেও কিন্তু হয়েছে। আপনাদের হয়তো প্রত্যাশা বেশি ছিল। অনেকেই মনে করছেন একটা টেস্ট জিতে আমরা হয়তো বিশ্বের এক বা দুই নম্বর দল হয়ে গেছি। ওয়ানডেতে তো আমরা অনেক স্ট্যাবল টিম, টেস্টে না। সেটাও আমাদের বুঝতে হবে। নড়বড়ের কিছুই হয়নি। যেটা বললাম কোন দিকে ঝুঁকি নিয়ে শট, রান করতে হবে সেগুলো বুঝতে হবে।’
আইপিএলের কারণে এই সিরিজে ছিলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার সম্মুখসারির টেস্ট বোলাররা। বাংলাদেশ নাকাল হয়েছে তাদের দ্বিতীয় সারির বোলারদের সামনেই। তাতে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ। মুমিনুলের ওপর চাপটাও তাই চলে আসছে অবধারিতভাবে। তবে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক এতে চিন্তিত নন মোটেও।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সিরিজ আর এ সিরিজ যদি দেখেন হয়তো রেজাল্ট হয়নি। ফলাফল না আসলে শুধু আমি না বিশ্বের যেকোনো ক্যাপ্টেনের ওপরই… (চাপ আসবে)। রুট কিন্তু গত এক বছরে ৬-৭টা সেঞ্চুরি করেছে। তারপরও তার ওপর চাপ আছে। ক্যাপ্টেন্সি এমন একটা জিনিস যেখানে আপনি পারফর্ম না করলে চাপ আসবেই। আর এই লেভেলে ক্যাপ্টেন্সি করলে চাপ নিতে হবে। এসব নিয়ে আমি চিন্তিত না। চাপ আসা মানে আপনার গ্রোথ হওয়া যেটা আমি বিশ্বাস করি। আপনি যত চাপ নিবেন আপনার খেলা তত ইম্প্রুভ হবে।’
তবে টেস্টে যে আরও উন্নতি চাই, সেটা অকপটে মেনে নিলেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজ তো প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল। টেস্টে উন্নতির কথা যদি বলেন আগামী দুই বছর বা সারাজীবনই খেলি উন্নতির শেষ নাই। টেস্ট ক্রিকেট ওয়ানডের মতো না। পাঁচ দিনের খেলায় সব বিভাগেই ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ভালো জায়গায় বল করা, সেশন অনুযায়ী ও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করা। আমি সবসময় বলি টেস্ট ক্রিকেটে আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে।’