বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে উড়াল দেওয়ার দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ঘটে যায় আলোচিত দুই ঘটনা। শুরুতে নিজের বিশ্বকাপে না থাকা নিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একই দিন রাতে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে সাকিব আল হাসানের বিস্ফোরক এক সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। দেশের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের এমন ভিডিও বার্তা ও সাক্ষাৎকারের রেশ অনেকদূর পর্যন্ত গড়ায়। এ নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আজ মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদ টিটু। সাকিব এমন মন্তব্যের আগে বিসিবি থেকে কোনো অনুমতি নিয়েছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, (সাকিব সাক্ষাৎকার দিয়েছে) আমি ব্যক্তিগতভাবে জানতাম না। আমি সংবাদমাধ্যমে প্রথম দেখেছি। যখন আমরা এটা দেখতে পেয়েছি, তখন ইতোমধ্যে দল বিশ্বকাপ খেলতে চলে গেছে। যখন বিশ্বকাপ বা একটা টুর্নামেন্ট চলে তখন আমাদের ফোকাস থাকে শুধু ওই টুর্নামেন্টে। বাহ্যিক আলাপ আলোচনার সুযোগ থাকে না। এখন দল এসেছে, আমরা রিপোর্ট পাওয়ার পর এগুলো আলোচনা হবে।’
আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে। আমাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর, এটা নিয়ে প্ল্যান অব অ্যাকশন যা-ই থাকবে সেগুলো ঠিক করা হবে। যদি শৃঙ্খলা কমিটি মনে করে, এ ধরনের কিছু করা দরকার, সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।
সাকিবের এমন সাক্ষাৎকার বিশ্বকাপ দলে প্রভাব রেখেছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে টিটু বলেন, ‘আমাদের শৃঙ্খলা কমিটি আছে। আমাদের রিপোর্ট পাওয়ার পর, এটা নিয়ে প্ল্যান অব অ্যাকশন যা-ই থাকবে সেগুলো ঠিক করা হবে। যদি শৃঙ্খলা কমিটি মনে করে, এ ধরনের কিছু করা দরকার, সে অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবে।’
টিটু মনে করেন বিশ্বকাপের আগে এসব কথা না হলে অন্যরকম কিছু হতে পারত, ‘সাকিব-তামিম-মুশফিক-রিয়াদ তো নতুন ক্রিকেট খেলছে না। তারা তাদের কন্ট্রাক্ট সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশের কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের তালিকায় তারা ওপরের দিকেই থাকবে। তারা যেই কাজগুলো করেছে বা যেই সাক্ষাৎকারগুলো দিয়েছে, যেটা নিয়ে এত আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, সেই জিনিসগুলো যদি বিশ্বকাপ শুরুর আগে না হতো তাহলে আমরা আরও স্বস্তির জায়গাতে থাকতাম। ওইরকম যদি না হতো তাহলে হয়তো ভালো হতো।’