রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে এক সিনিয়র স্টাফ নার্স ও তার পরিবারকে অবরুদ্ধ করে প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন হাসপাতালের নার্সরা। মানববন্ধন থেকে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন তারা। এরআগে সকাল ১০টার দিকে রমেক হাসপাতালের নার্সরা কর্মবিরতি পালন করে হাসপাতাল চত্বরে সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
মানববন্ধনে নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা অভিযোগ করে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আশরাফুল ইসলাম শামীম ও তার পরিবারকে বাসায় অবরুদ্ধ করে প্রাইভেটকার পুড়িয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। শামীম হাসপাতাল চত্বরে অবস্থিত নার্সেস কোয়ার্টারে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন। ঘটনার দিন রাতে কোয়ার্টারের বাসার গেট বাইরে থেকে বন্ধ করে গ্যারেজে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় সেখানে থাকা শামীমের প্রাইভেটকার ভস্মীভূত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভালেও গ্যারেজ ও প্রাইভেটকারটি পুড়ে গেছে।
দুষ্কৃতিকারীরা পরিকল্পিতভাবে এই অপকর্ম করেছে দাবি করে বক্তারা নার্সদের এক নেতা জড়িত রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেন। তার নেতৃত্বেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। নেতৃবৃন্দ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান। অন্যথায় হাসপাতালে দীর্ঘ কর্মবিরতি পালনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তব্য দেন- ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম শামীম, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ রমেক হাসপাতাল শাখার সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কামাল, সহ-সভাপতি শফিউজ্জামান রিপন, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ নেতা মিজানুর রহমান মানিক, আজমিরা বেগম, তানজিনা আফরিন জিমি, রেজিনা বেগম, সেতারা পারভীন, জেসমিন আক্তার জুই, সোহেলা পারভীন প্রমুখ।
ভুক্তভোগী আশরাফুল ইসলাম শামীম দাবি করেন, তার নাইট ডিউটি থাকায় রাত ৩টার দিকে বাসায় ফেরেন। স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় বাইরে শব্দ পেয়ে দেখতে পান গ্যারেজে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। সেখানে থাকা তার প্রাইভেটকারটিও জ্বলছে। বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করলে দেখেন বাইরে থেকে গেট বন্ধ। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গেট খুলে দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।