নাগরিকদের চীন ভ্রমণে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এব বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন নাগরিকরা চীনে গেলে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ‘অন্যায়’ গ্রেপ্তারের শিকার হতে পারেন।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘চীনের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে মার্কিন পর্যটকদের হয়রানি সম্পর্কিত কিছু তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আশঙ্কা করছি— মার্কিন নাগরিকরা যদি চীন ভ্রমণে যান, সেক্ষেত্রে তারা দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেচ্ছাচারী আচরণ এবং অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের শিকার হতে পারেন।’
ওই মুখপাত্র আরও জানান, অন্তত তিন জন মার্কিন নাগরিক চীনে গিয়ে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন তারা। ওই নাগরিকদের কারামুক্ত করতে চীনের সরকারের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চরম তিক্ততায় পৌঁছেছে। প্রায় প্রতিদিনই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশের নেতারা পরস্পরকে দোষারোপ করেন।
এই পরিস্থিতিতেই ভ্রমণ বিষয়ক এ সতর্কতা জারি করল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আগে মার্চ ও মে মাসে নাগরিকদের চীন ভ্রমণে ‘লেভেল থ্রি : রিকনসিডার ট্রাভেল’ বার্তা দিয়েছিল মন্ত্রণালয়। এই বার্তার অর্থ, যেসব নাগরিক নিকট ভবিষ্যতে চীন ভ্রমণের পরিকল্পনা নিয়েছেন, তারা যেন তা পুনর্বিবেচনা করেন।
কিছুদিন আগে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বেইজিং সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। কিন্তু তিনি সফর শেষ করে ফেরার পরদিনই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে ‘স্বৈরাচার’ বলে উল্লেখ করে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফলে ব্লিনকেনের সফরে দুই দেশের সম্পর্কের উন্নতির যে সম্ভাবনা সৃষ্টি তা, কার্যত ভেস্তে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষটা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে বেইজিং সফর করেছিলেন ব্লিনকেন, সেই একই কারণে চলতি সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।