মিথ্যা বানানো আর বলার কারখানা বিএনপি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিথ্যা কথা বানানো, আর মিথ্যা কথা বলার যদি কোনো কারখানা থেকে থাকে সেটি হলো বিএনপি। তারা মিথ্যা কথা বানানো ও বলতে খুব ভালো পারে। যতটুকু মিথ্যা এর প্রোডাকশনটা এরা ভালো দেয় এবং বলেও যায়। আমাদের কিছু লোক সেটা বিশ্বাস করে বসে থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, বন্যা হয়েছে, আজ পর্যন্ত বিএনপির কোনো নেতা বা কেউ কোনো সাহায্য দিয়েছে বানভাসিদের? দেয়নি। ঢাকায় বসে বসে তাদের দলের নেতারা নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এমন এমন দুর্গম এলাকায় গেছে যেখানে বন্যার পানির কারণে কেউ পৌঁছাতে পারছে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ যে যেখানে আছে তারা সেখানেই ত্রাণ বিতরণ করে যাচ্ছে। তারা মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে, তারা খাদ্য সাহায্য দিচ্ছে। উদ্ধার কাজ করছে। বিএনপি বন্যাদুর্গতদের জন্য আজ পর্যন্ত এক মুঠ (মুঠো) খাবারও দিতে পারেনি। তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে এখানে বসে বসে মায়া কান্না করে যাচ্ছে, এটাই হচ্ছে এদের চরিত্র।

তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতু করেছি আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে। এটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে। বিএনপি আবার প্রশ্ন তোলে কোন মুখে, যাদের আপাদমস্তক দুর্নীতিতে ভরা? এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করে সাজা পেয়েছে খালেদা জিয়া। শুধু এতিমের অর্থ কেন নাইকো, গেটকো- এ রকম বহু কেস ঝুলে আছে। ওই কেসে সে তো কখনো কোর্টেই যেতে চায়নি। প্রত্যেকটা প্রজেক্টে দুর্নীতি করে তারা টাকা বানিয়েছে। তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া, কোকো সবাই। কোকো তো পরে মরেই গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, এই দুর্নীতি করে যদি টাকা না বানাবে বিদেশে এত বিলাস বহুল জীবন-যাপন করে কী করে? কত টাকা খরচ করে সেখানে কোম্পানি খুলেছে এবং সেই কোম্পানিতে প্রথমেই সে যে (তারেক) ব্রিটিশ নাগরিক সেটা লিখেছে। এক বছর পরে সেটাকে আবার সংশোধন করে সেখানে বাংলাদেশের নাগরিক লিখেছে। কারণ মিথ্যা কথা লেখাতে ধরা পড়ে যায়। কাজেই সেটাকে আবার সংশোধনও করেছে। যখন কথা তুলেছি যে সে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব পেলো কোথা থেকে? একটা সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ব্রিটিশরা কীভাবে নাগরিকত্ব দেয়? সেটা এখন তারা উইথড্র করেছে। এখন বাংলাদেশের লিখেছে। তথ্য তো আমাদের কাছে আছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখানে নিজের ভাগ্য গড়তে আসেনি। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছে। বাংলাদেশের ইতিহাস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে যদি দেখা যায় আজ পর্যন্ত এদেশের মানুষের যতটুকু অর্জন সবটুকুই আওয়ামী লীগের হাতে। আওয়ামী লীগ যখনই সরকারে এসেছে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। এজন্য আওয়ামী লীগকে বার বার ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয় না। কারণ তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে শোষণ করতে পারে না, নির্যাতন করতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ