দেশব্যাপী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল আজ রোববার (১৯ জুন) থেকে। তবে সিলেটসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় গত শুক্রবার (১৭ জুন) পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা আসে। এতে অনিশ্চয়তায় পড়া ২০ লাখ শিক্ষার্থীর এখন একটাই প্রশ্ন, কবে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা?
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। মোবাইল ফোনে তিনি বলেন, সিলেটে বন্যাদুর্গতদের জন্য স্কুলগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। পরীক্ষার চেয়ে মানুষের জীবন বড়। যে কারণে ওখানে আপাতত পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সিলেটে পরীক্ষার কাগজ নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি। ওগুলো পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে কি না জানি না। তবে, আমাদের স্টকে আরও কাগজ আছে। আমরাও প্রস্তুত আছি। বন্যার পানি নেমে গেলে মন্ত্রী দ্রুত আমাদের সঙ্গে সভা করবেন। সেখানে পরীক্ষার নতুন সূচি ঘোষণা হবে। সে অনুযায়ী, ঈদের আগে পরীক্ষা আয়োজন করতে বললেও আমরা পারব। কারণ, আমাদের প্রশ্নপত্র তৈরি আছে। আমরাও পরীক্ষা আয়োজনে প্রস্তুত।
এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঈদের আগেও পরীক্ষা শুরু করতে পারব। বিষয়টি নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে আমরা এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ করব।
এসএসসি পরীক্ষা পেছানোর ফলে আগামী আগস্টে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও পেছাতে পারে কি না সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পেছাতেও পারে। কারণ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মধ্যে মোটামুটি দুই মাসের একটা বিরতির প্রয়োজন হয়। না হলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা কিছু সময় পিছিয়ে যেতে পারে।
এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতির কারণে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য ট্রেজারি/থানা/পরীক্ষা কেন্দ্রে রক্ষিত সব মালামাল নিরাপদ ও সতর্কতার সঙ্গে সংরক্ষণ করার জন্য অনুরোধ করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটি।