খেলা শুরুর সময়ই ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বিকাল সোয়া ৫টা পর্যন্ত খেলা চলবে। এটি কেবল তখনই হবে, যখন খেলার মতো যথেষ্ট আলো থাকবে। কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। তার দুই ঘণ্টা আগেই খেলার উপযোগিতা হারালো মাঠ। পর্যাপ্ত আলো না থাকায় খেলা বন্ধ ঘোষণা করেছেন আম্পায়াররা।
নিউজিল্যান্ড দেয়া ৮ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিল বাংলাদেশ। খেলতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে বসে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। দলীয় ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন মাহমুদুল হাসান জয় (২ বলে ২)। এরপর ৩৮ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট বিলিয়ে দেন অধিনায়ক শান্ত। ২৪ বলে ১৫ রান করেন এই বাঁহাতি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান। জাকির হাসান ১৬ রানে আর মুমিনুল হক ০ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে প্রথম দিনের ৫ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। খানিকটা ভেজা উইকেটেও শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। তবে খুব বেশি সুবিধা পাননি তাইজুল-মিরাজরা। সেই সুযোগ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন মিচেল-ফিলিপস।
এই দুইজনের দারুণ ব্যাটিং শঙ্কায় ফেলেছিল বাংলাদেশকে। তবে ইনিংসের ২২তম ওভারে মিচেলকে ফিরিয়ে ৪৯ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। মিচেলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ রান। এরপর সুবিধা করতে পারেননি মিচেল স্যান্টনার। ১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
তবে আটে ব্যাটিং করতে নেমে ফিলিপসকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন কাইল জেমিসন। তার ২৮ বলে ২০ রানের ইনিংস ভরসা জুগিয়েছে অপর প্রান্তে থাকা ফিলিপসকে। জেমিসনের পর সাউদিও করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৪ রান।
সাউদি-জেমিসনকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের রান টপকাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন ফিলিপস। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি হাতছাড়ার আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরলেও দলকে ঠিকই লিড এনে দিয়েছেন। ফিলিপস ৮৭ রান করে আউট হলে নিউজিল্যান্ড থামে ১৮০ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন মিরাজ ও তাইজুল। তাছাড়া শরিফুল ও নাঈম উইকেট পেয়েছেন দুটি করে।