তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আমরা চাই বিএনপিও নির্বাচনে আসুক এবং অংশগ্রহণ করুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক।
রোববার (৮ অক্টোবর) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার প্রকাশিত ‘পূর্ব পাকিস্তান সংকট শ্বেতপত্র’ পুনঃমুদ্রণের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে কি না জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে ছাড়া তো নির্বাচন করতে চাই না। আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। আমরা চাই বিএনপিও নির্বাচনে আসুক এবং অংশগ্রহণ করুক, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। তারা যে বলছে তাদের প্রচণ্ড জনপ্রিয়তা, সেটি একটু যাচাই-বাছাই করে দেখুক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে। নির্বাচনে কোন দল অংশগ্রহণ করলো সেটির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলো কি না। সর্বশেষ যে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলো হয়েছে সেখানে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ সেখানে ভোট দিয়েছে এবং নির্বাচন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি এলেও আমরা স্বাগত জানাই, আমরা চাই তারা অংশগ্রহণ করুক কিন্তু না এলেও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। নির্বাচন অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হবে।
নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে এসেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, এটি তো ভালো, কারণ বিদেশিদের আগ্রহ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে বহুমাত্রিকতা আছে। এবং সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানান ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্ক আছে। জঙ্গি দমনে, সন্ত্রাসবাদ দমনে এবং আমাদের উন্নয়নে সব জায়গায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতার সম্পর্ক আছে। তাদের যে প্রতিনিধি দল এসেছে আমি মনে করি সেটি ভালো দিক।
বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক মাঝপথেই থেমে গেছে, এটা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো কতগুলো গুজব। তিনি (নিরাপত্তা উপদেষ্টা) বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এক ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক হয়েছে। এটি নিয়ে যারা লিখেছে তারা কি সেখানে ছিল? বিদেশি একজন শীর্ষ কূটনীতিক বা শীর্ষ কর্মকর্তার সম্পর্ক কোনো পর্যায়ে হলে আমাদের দূতাবাসে গিয়ে বৈঠক করে সেটি যারা বুঝতে ব্যর্থ হয় তারা কিছুই বোঝে না।