৩ দিনের ছুটিতে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের ভিড়

টানা তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের ঢল নেমেছে। অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে ৮০ শতাংশ হোটেল-মোটেল।

একাধিক পর্যটন ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও শবে বরাতকে সামনে রেখে আগামী ১৭-১৯ মার্চ তিন দিন সরকারি ছুটি। এ কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের বালিয়াড়ি ও পর্যটন স্পটগুলোতে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। এই পরিস্থিতিতে রেস্তোরাঁ, যানবাহনসহ সব জায়গায় বাড়তি অর্থ আদায় ছাড়াও হয়রানির অভিযোগ করছেন পর্যটকরা।

এদিকে কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলো। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বদা সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধে সাদা পোশাকে এবং পর্যটক বেশেও পুলিশের নারী সদস্যরা সৈকতে অবস্থান করছেন।

সী গাজীপুর রিসোর্টের পরিচালক আব্দুল জব্বার বলেন, তিন দিনের ছুটিকে সামনে রেখে হোটেলের সব রুম বুকিং হয়ে গেছে। এখনও অনেক ফোন আসছে বুকিংয়ের জন্য। কিন্তু আমরা বুকিং নিতে পারছি না।

ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব টোয়াকের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার কামাল জানান, কক্সবাজারে ২০০-২৫০টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। এর মধ্যে ১৭-১৯ তারিখের জন্য প্রায় ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। এ সময় কক্সবাজারে পাঁচ লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের সম্ভাবনা রয়েছে।

কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন বলেন, কক্সবাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে মোটরসাইকেল নিয়ে টহলে থাকবে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ