২১ দিনে এলো ১৪২ কোটি ডলার

প্রবাসী আয়ে চাঙ্গাভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাইয়ের প্রথম ২১ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। দৈনিক গড়ে দেশে এসেছে ৬ কোটি ৭৯ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

রোববার (২৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৮ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১৯ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে আস্তে আস্তে ডলারের দর বাড়াচ্ছে ব্যাংকগুলো। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হচ্ছে।

গেল জুনে প্রবাসীরা ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার দেশে পাঠান। যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। আর একক মাস হিসেবে এই অঙ্ক এযাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে দেশে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থার (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক নিয়মে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত রিজার্ভ ২ হাজার ৩৪৪ কোটি (২৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন) ডলার।

বুধবার (১৯ জুলাই) দেশের রিজার্ভ দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৮৫ কোটি ডলার (২৯ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন) ডলার। তবে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী- আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রকৃত রিজার্ভে ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দেয়া হয়েছে। সেই প্রকৃত রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে। প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসাবে এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বাংলাদেশ।

সারা বিশ্বে প্রচলিত ও বহুলব্যবহৃত আইএমএফের ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) অনুযায়ী, রিজার্ভ গণনায় বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত বিভিন্ন তহবিলের পাশাপাশি বিমানের জন্য প্রদত্ত ঋণ গ্যারান্টি, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে মুদ্রা বিনিময়, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে দেওয়া ঋণ, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকে আমানত এবং নির্দিষ্ট গ্রেডের নিচে থাকা সিকিউরিটিতে বিনিয়োগ অন্তর্ভুক্ত নয়। এসব খাতে বর্তমানে রিজার্ভ থেকে ৬৪০ কোটি ডলার দেওয়া আছে, যা বাদ দিয়ে হিসাব করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ