হ্যান্ডসেট উদ্ধারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি

গ্রাহকদের হারিয়ে যাওয়া বা চুরি-ছিনতাই হয়ে যাওয়া হ্যান্ডসেট উদ্ধারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছে গ্রাহক স্বার্থ নিয়ে কাজ করার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রতিদিন রাজধানীতেই ঘটছে সেলফোন ছিনতাইয়ের ঘটনা, যা থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না সরকারের মন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা বা সাধারণ গ্রাহক। এ সব ছিনতাই হওয়া হ্যান্ডসেট উদ্ধারে খুব একটা তৎপরতা যেমন নেই, ঠিক তেমনি উদ্ধারের সংখ্যাও নেহায়েত খুব কম। তাই এসব হ্যান্ডসেট উদ্ধারে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা জরুরি।

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দণ্ডবিধির ৩৭৯ ধারায় মুঠোফোন চুরি করার অপরাধে দায়ী ব্যক্তির তিন বছর কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ফৌজদারি অপরাধে মুঠোফোন ছিনতাইকারী কোন ব্যক্তির এ ধরনের সাজা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।

তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ছিনতাইকারীর কবলে পড়া গ্রাহক থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করার পর সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলার এসপি অফিস কিংবা মহানগরের ক্ষেত্রে সেটি পাঠিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের ডিসি অফিসে। সেখান থেকে বিষয়টি পাঠানো হয় পুলিশ সদরদপ্তরে। এরপর পুলিশ সদরদপ্তর থেকে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন কোম্পানির কাছে পাঠানো হয় বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য। বিটিআরসিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে অনেকে আবেদন বা যোগাযোগ করে সুফল পেয়েছে এমন তথ্য আমাদের জানা নেই।

মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যোগাযোগ করে জানতে পেরেছি বিটিআরসি কেবলমাত্র আইএমইআই নম্বর শনাক্ত করে চলমান হ্যান্ডসেটটি নিষ্ক্রিয় করার সক্ষমতা রাখে। মুঠোফোন প্রচারের ক্ষেত্রে বিটিআরসি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এমনকি অপারেটরদের মধ্যে নেই কোনো ইকো সিস্টেম। অনেক গ্রাহক থানায় ঘুরতে ঘুরতে অনেক সময় আর খোঁজ রাখেন না। হয়রানির ভয়ে অনেকে থানায় জিডি বা মামলা করতেও অনিচ্ছা প্রকাশ করে।

দাবিতে আরও বলা হয়, অপরাধীরা শাস্তি না পাওয়ার কারণে দিন দিন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না মন্ত্রী আমলা এমনকি নিরাপত্তা কর্মীসহ সাধারণ নাগরিক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছিনতাইকারী চক্র এতটাই প্রযুক্তি মেধা সম্পন্ন হয়ে গেছে যে তারা প্রথমে নেটওয়ার্ক আইসি পরিবর্তন, ব্যাটারি খুলে ফেলা এবং আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে ফেলতে পারছে। এই অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আমাদের অনুরোধ দ্রুত একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করুন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ