বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার স্বপ্ন নিয়েই ভারতে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে দুর্দান্ত শুরুর পর খেই হারিয়েছে টাইগাররা। প্রথম চার ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় সম্বল বাংলাদেশের। রানরেটের দিক থেকেও পরিস্থিতি তাদের পক্ষে নেই। এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে আছে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। শুধু এতেই শেষ হচ্ছে না দুরাবস্থার কথা। দলের পেস বোলিং ইউনিটের বড় ভরসা তাসকিন আহমেদ এবং কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দুজনেই অসুস্থ। আবার সাকিব আল হাসানের চোট নিয়েও আছে ধোঁয়াশা।
তবে এসব কিছুর পর মাঠের ক্রিকেটের দিকেই বেশি মনোযোগ রাখতে চায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। টানা হারের পরেও এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি সেমির স্বপ্ন। শেষ চারে থাকতে হলে এই মুহূর্তে বাংলাদেশের দরকার ভাল কিছু জয়। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে পরের পাঁচ ম্যাচ থেকে অন্তত ৩টি ম্যাচ জয় পেতেই হবে টাইগারদের।
বিশ্বকাপে আর ৩ ম্যাচ জিতলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত না হলেও অন্তুইত রেসে টিকে থাকবে টাইগাররা। সেক্ষেত্রে অন্যান্য দল আর যদি-কিন্তু বেড়াজালে আটকে থাকতে হবে তাদের। পরের ৫ ম্যাচে ৪টি জিতলে অনেকটাই নির্ভার থাকতে পারে তারা। সেক্ষেত্রে উজ্জ্বল হবে শেষ চারে থাকার সম্ভাবনা। মোট ৫ জয় নিয়ে অন্তত চতুর্থ স্থানে থেকে বিশ্বকাপের সেমিতে পা রাখবে সাকিব আল হাসানের দল।
আর বাকি পাঁচ ম্যাচের সবকটিতে জয় পেলে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত থাকবে বাংলাদেশের জন্য। পরের ম্যাচগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়া। এখান থেকে বাংলাদেশ ঠিক কত ম্যাচে জয় পায় সেটিই এখন দেখার বিষয়।
বিশ্বকাপে নিচের দিকে থাকা ৫ দলের পয়েন্ট সংখ্যা সমান। প্রত্যেকেই চার খেলায় পেয়েছে ২ পয়েন্ট। তবে এদের মধ্যে বাংলাদেশই অনেকটা এগিয়ে আছে। তবে সেটাও প্রতিপক্ষদের কল্যাণে। ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের হারের পর কিউইদের কাছে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে। ভারতের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। তবুও নেট রান রেটে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ এখন আছে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে।