গেল কদিন ধরে লিওনেল মেসির সৌদিযাত্রা নিয়ে তোলপাড় ফুটবল দুনিয়া। অনুমোদন ছাড়া পর্যটন দূতের ভূমিকায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি সফরে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। তার সঙ্গে ক্লাবের চুক্তি নবায়ন না করার বিষয়টিও শোনা যাচ্ছিল জোরেশোরে। এরপর অবশ্য জানা যায়, এক মাস আগেই প্যারিসে না থাকার বিষয়টি ঠিক করে রেখেছেন মেসি। পিএসজির সঙ্গে বিচ্ছেদ যখন চূড়ান্ত ভাবা হচ্ছে, ঠিক তখনই পাওয়া যাচ্ছে নতুন খবর।
অনুমোদনহীন সফরের জন্য সম্প্রতি পিএসজি কর্তৃপক্ষ ও সতীর্থদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন মেসি। নির্ধারিত সফরের কারণে তিনি দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি এবং এ নিয়ে নিষেধাজ্ঞা আসায় অনুতপ্ত বলেও জানান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
এরপরই টাইমসের বরাতে গোল ডটকম জানায়, ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনের মধ্যেই মেসির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করতে চায় পিএসজি। এরই মধ্যে ক্লাবের তরফে নতুন অফারও দেওয়া হয়েছে আর্জেন্টাইন তারকাকে। প্রতিবেদন বলছে, অধরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের স্বপ্ন পূরণে মেসিকে নিয়েই পরিকল্পনা করছে প্যারিস জায়ান্টসরা।
গত ৩ মে মেসির বিরুদ্ধে দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। এরপর সমর্থকরা মেসির বাড়ির সামনে গিয়ে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। যদিও পরবর্তীতে সেই ঘটনায় নিন্দা জানায় পিএসজি। তবে আগামী মৌসুমে আর আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে দলে না রাখারও ঘোষণা দেয়। ওই সময় ফরাসি গণমাধ্যম জানিয়েছিল, মেসির অনুমোদনহীন সৌদি যাত্রাকে মারাত্মক ভুল হিসেবে দেখছে পিএসজি। আর তাই আগামী দুই সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তারকা এ ফুটবলারকে। লিগ ওয়ানের অন্তত দুইটি ম্যাচ খেলতে পারবেন না মেসি। এছাড়া নিষেধাজ্ঞা দুই সপ্তাহ পর্যন্ত বলবত থাকলে আগামী ২১ মের আগে ক্লাবটির হয়ে মাঠা নামা হচ্ছে না তার।
সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির সৌদি সফরের মূল কারণ তিনি দেশটির পর্যটনবিষয়ক শুভেচ্ছাদূত। মূলত প্রচারণার মাধ্যমে আরব দেশটির পর্যটনশিল্পের প্রসারে ভূমিকা রাখতেই উড়াল দিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু দলের অভ্যন্তরীণ বাজে পরিস্থিতি ও মাঠের পারফরম্যান্স ক্লাবকে কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য করেছে!
এদিকে, ভিডিওবার্তায় মেসি বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, প্রতিটি ম্যাচ পরবর্তী সময়ের মতো আমরা ছুটিতে যাচ্ছি। আগে থেকেই আমার সফরটি (সৌদি আরব) নির্ধারিত ছিল এবং আমি তাৎক্ষণিক সেটি বাতিল করতে পারিনি। যদিও এর আগে ছুটি না থাকায় এরকম সফর বাতিল বাতিল করেছিলাম। সতীর্থদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থনা করছি এবং ক্লাব কর্তৃপক্ষ আমাকে যে শাস্তি দেয়, তা মেনে নেবো’ ধারণা করা হচ্ছে, মেসির ভিডিও বার্তার পরই সুর পাল্টেছে পিএসজি।