সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে মাছ ধরা নিয়ে সংঘর্ষে দুলা মিয়া (২৬) হত্যা মামলায় একজনের আমৃত্যু ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিউদ্দিন মুরাদের আদালত এই রায় দেন।
তাদের মধ্যে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন সম্ভুপুর গ্রামের রহিদ উল্লার ছেলে হীরা মিয়া প্রকাশ ইজাজুল। আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন দাওরাই গ্রামের মসকদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল মন্নাফ, একই গ্রামের আমরু মিয়ার ছেলে কয়েছ, রৈফত উল্লার ছেলে মসকুর ও নেছাওর। এ ছাড়া একই গ্রামের আসামী নূর হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট খাইরুল কবির রুমেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ২৪ নভেম্বর গ্রামের ডোবায় মাছ ধরা নিয়ে জগন্নাথপুরের দাওরাই গ্রামের সফর আলী ও হীরা মিয়াপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান দুলা মিয়া।
পরে ২৬ নভেম্বর ৩২ জনকে আসামি করে দুলা মিয়ার চাচা সফর আলী বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। মামলার কার্যক্রম চলাকালীন পাঁচ আসামি মৃত্যুবরণ করেন। এরই মধ্যে মারা গেছেন মামলার বাদী সফর আলীও। আর মামলার ১০ আসামি এখনো পলাতক আছেন।
আদালত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট সোহেল মিয়া ও অ্যাডভোকেট আবুল মজাদ চৌধুরী।
বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী ও সরকার নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট আইনুল ইসলাম বাবলু।