সিজারিয়ান অপারেশনে পায়ের আঙ্গুল ভূল চিকিৎসায় পুড়ে পঙ্গুত্বের আশংকায় নবজাতক। এ অভিযোগের মামলায় মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পৌর সদরের আঙ্গারিয়া মহল্লা ডাঃ কেরামত আলী হাসপাতালের নার্স-আয়াসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ মিজানুর ইসলাম।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ডা. কেরামত আলী হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের নার্স শিরিনা আক্তার, আয়া দিপালী রানী দাস ও ক্যাশিয়ার মো. জাহিদ খান।
জানা গেছে, গত ১৮ মার্চ রাতে ডা. কেরামত আলী হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রসববেদনা নিয়ে ভর্তি হন উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের ঢোনখালপাড় এলাকার শুকুর আলীর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী তাজ নাহার (২৫)। রাতেই ওই প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন ডা. মাহমুদা সুলতানা সাকি। অস্ত্রোপচারের পর নবজাতকটি কান্না না করায় তাকে অ্যানালগ পদ্ধতিতে হিট দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় অতিরিক্ত হিট দেওয়ায় নবজাতকের দুই পায়ের আঙ্গুলগুলো পুড়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই নবজাতককে ঢাকার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে ধানমন্ডির রেনেসাঁ হাসপাতালে প্রায় ১৬ দিন চিকিৎসা শেষেও পায়ের আঙ্গুলের কোন উন্নতি হয়নি। আঙ্গুগুলোর স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা নিয়ে দেখা দিয়েছে আশংকা।
এ ঘটনায় নবজাতক শিশুর বাবা শুকুর আলী সোমবার (৩ এপ্রিল ) চারজনকে আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সিংগাইর থানার ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পলাতক ডা. মাহমুদা সুলতানা সাকিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।