সিংগাইরে গাইনী ডাক্তার সেঁজে প্রতারণা, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন নাম সর্বস্ব অমি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার নামধারী উসমান গণির বিরুদ্ধে গাইনী ডাক্তার সেঁজে এক নারী রোগীকে প্রতারণা করে চিকিৎসা দেয়া ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

উপজেলার চারিগ্রাম ইউনিয়নের দাসেরহাটি গ্রামের পিংকী আক্তার নামের এক নারী চিকিৎসা নিতে ওই ক্লিনিকে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানান। তিনি গত শুক্রবার (২ জুন) জনৈক ব্যক্তির পরামর্শে ওই ক্লিনিকে গাইনী চিকিৎসার জন্য যান। ক্লিনিক মালিক ডাক্তার নামধারী উসমান গনি বিভিন্ন পরীক্ষা -নিরীক্ষার নামে ও তার ভিজিট বাবদ ৫ হাজার টাকা দাবী করেন। সেখানে ভুক্তভোগী ওই রোগী ২ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরে তাকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধরিয়ে দিয়ে বাড়তি টাকাও হাতিয়ে নেন উসমান গনি। পরদিন মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করায় পিংকী আক্তারের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। অভিযোগ নিয়ে ভুক্তভোগী তার আত্মীয়ের সহায়তায় গত সোমবার ( ৫ জুন) অমি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। সেখানে উসমান গণি বিষয়টি একাধিক ব্যক্তির উপস্থিতিতে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন।

একপর্যায়ে উসমান গণি গাইনী ডাক্তার সেঁজে চিকিৎসা দেয়া, মেয়াদোত্তীর্ন ওষুধ বিক্রি ও প্রতারণার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং হাতিয়ে নেয়া টাকাও ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি সুরাহা না হলে ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৮জুন) দুপুরে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ওই ক্লিনিকে গেলে অভিযুক্ত উসমান গনি তার প্রতিষ্ঠানের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। সাংবাদিকদের কাছে তার কৃতকর্মের জন্য হাতে- পায়ে ধরার চেষ্টা করেন এবং সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন,এ ক্লিনিকটিতে দীর্ঘদিন যাবত অবৈধ গর্ভপাতের ঘটনা ও চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা চলছে। মাঝে মধ্যে আর্থিক ক্ষতিসহ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। অবৈধ ক্লিনিক বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।

সিংগাইর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হাফিজুর রহমানকে ভুক্তভোগী পিংকী আক্তারের ব্যবস্থাপত্র দেখালে তিনি বলেন, এটাতো গাইনী রোগীর ট্রিটমেন্ট। একটা হরমোন ও অপরটি কনসেপ্ট হওয়ার ওষুধ লিখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া বলেন, উনি তো ডাক্তার না, এসএসিএমও। তিনি কোনো চিকিৎসা দিতে পারেন না। এসিল্যান্ডকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ ক্লিনিক -ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

আপনার মতামত প্রকাশ করুন

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ