সাফে বাংলাদেশ একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন রজনী কান্ত বর্মণ (ফাইনালে অধিনায়কত্ব করেছিলেন হাসান আল মামুন )। ২০০৩ সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক এখন শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং পারিবারিকভাবেও বিপর্যস্ত। স্ত্রীকে হারিয়েছেন, নিজের স্বাভাবিক চলাফেরা কষ্টসাধ্য। গাজীপুরে ভঙুর এক বাড়িতে দিন কাটছিল রজনীর।
এ রকম পরিস্থিতিতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেই রজনীকে ফোন করেছিলেন। এরপর রজনীর জন্য আর্থিক সাহায্য ও বাড়ি করে দেয়ার নির্দেশনা দেন।
আজ বিকেলে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৩০ লাখ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্রটি তুলে দেন। রজনী ছাড়াও আজ আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন আবাহনী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক কাজী আনোয়ার। তিনি ২৫ লক্ষ টাকার পারিবারিক সঞ্চয়পত্র পেয়েছেন। এছাড়া আবাহনী ক্লাবের দুই কর্মচারী মোঃ তারেকুল ইসলাম লিটন ও মোঃ আতাউল ইসলাম ২ লক্ষ টাকা করে পেয়েছেন। আর্থিক সাহায্য ছাড়াও রজনীকে গাজীপুরে বাড়ি এবং কাজী আনোয়ার ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট পাবেন।
ক্রীড়াঙ্গনকে এভাবে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় প্রতিমাসেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অসহায়, অসচ্ছল ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সহায়তা করে চলেছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
উল্লেখ্য, গতকাল প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ৫ জন ক্রীড়াবিদ / ক্রীড়াসংগঠককে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে প্রদত্ত ৯১ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।